অনলাইন
বাংলাদেশের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ভূমিকা রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(১০ মাস আগে) ১৫ মে ২০২৪, বুধবার, ৬:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন- বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরো গভীর ও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ককে বহুমাত্রিক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ভূমিকা রয়েছে।
নির্বাচনের পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একক দেশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার এবং সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। মন্ত্রী বলেন, আমি অনুরোধ করেছি যে আমরা যে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করেছি সেখানে কিছু মার্কিন বিনিয়োগ আছে এবং আরো যাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হয়। এছাড়া বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেন আরো মার্কিন বিনিয়োগ আসে সে বিষয়ে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজনেস বাস্কেটের ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য যে জিএসপি সুবিধা আমরা পেতাম কিন্তু এখন পাইনা, সেটি তারা ফিরিয়ে দিতে রাজি। আমি বলেছি, আপনারা প্রোগ্রামটা যখন ফের শুরু করবেন, তখন বাংলাদেশকে বিবেচনা করুন। মন্ত্রী বলেন, তবে এজন্য সবার আগে আমাদের শ্রমনীতি পুনঃপর্যালোচনা করতে হবে এবং এটি আমরা করছি। এটি নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সোমবার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স করপোরেশন থেকে বাংলাদেশকে অর্থায়ন করতে চায়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ২৫ লাখ লোক কর দেয় কিন্তু এখানে কয়েক কোটি লোকের কর দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু কর দেয়না। কর ব্যবস্থাকে আধুনিক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে চায় এবং একই সঙ্গে কর ফাঁকি বন্ধেও তারা সহায়তা করতে চায়। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তাকে অনুরোধ জানিয়েছি ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বাংলাদেশ এবং আমরা এখন যে সুবিধা পাই সেটি আর থাকবে না। ট্রানজিশন পিরিয়ডে যেনো বাংলাদেশের যাত্রা মসৃণ হয় সেটির জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছি।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরিকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ডনাল্ড লু জানিয়েছেন যে এটি তাদের বিচার বিভাগের অধীনে এবং সেখানে হোয়াইট হাউজ বা স্টেট ডিপার্টমেন্টের এখতিয়ার নেই। তবে তারা তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য সহায়তা করবে। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চায়। আমরাও চাই।
নির্বাচন বা মানবাধিকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। উভয়পক্ষ আলোচনা করেছি যে অতীতে কি ঘটেছে, সেটি আমরা দেখতে চাই না। আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই।
পাঠকের মতামত
আমেরিকা শুধু পারে কোন একটা দেশের বারোটা বাজাতে।