খেলা
ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডারে গুরুত্ব পাচ্ছে জাতীয় দল
স্পোর্টস রিপোর্টার
৮ মে ২০২৪, বুধবারপ্রায় এক যুগ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। নানা আলোচনা-সমালোচনার পর এ বছর ১২ই ফেব্রুয়ারি বোর্ড সভায় তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে পেয়েছেন নতুন দায়িত্ব। এবার বিসিবিতে চিফ কো-অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রাম হিসেবে কাজ করছেন দেশের সাবেক এই ক্রিকেটার। এ বিভাগে মূলত হেড অব প্রোগ্রাম অস্ট্রেলিয়ান ডেভিড মুরসের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন তিনি। বিসিবি’র বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন, গেম ডেভেলপমেন্ট, টুর্নামেন্ট এসব নিয়ে কাজ তার। এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে করছেন পরিকল্পনা। এরমধ্যে প্রধান গুরুত্ব পাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার। দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের নতুন কাজ নিয়ে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রোগ্রামগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছি।
ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। সেটি এনসিএল, বিসিএল আর বিপিএলই হোক। বিশেষ করে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ক্যালেন্ডার নিয়ে তো প্রতি বছরই তৈরি হয় নানা বিতর্ক। বিশেষ করে জাতীয় দলের সূচির সঙ্গে মিলে যাওয়াতে ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারেন না। এ বিষয়ে নান্নু বলেন, ‘আসলে ক্যালেন্ডারটা বোর্ডই ঠিক করে দেয়। কখন কোন ফরম্যাটের খেলা হবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আমরা শুরু করি সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে। সেই হিসেবে আমরা শুরুতেই এনসিএল নিয়ে কাজ করছি। সবার সমন্বয়ে কিন্তু ক্যালেন্ডরটা তৈরি করা। আশা করি এক মাসের মধ্যে আমরা সব চূড়ান্ত করে ফেলতে পারবো।’ অন্যদিকে নান্নু বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার তৈরিতে মূল চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক সূচি। তিনি বলেন, ‘এখন যেভাবে আন্তর্জাতিক ব্যস্তসূচি সেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার সমন্বয় করা কঠিন হচ্ছে।’ অন্যদিকে এবার ক্যালেন্ডার তৈরিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যতটা সম্ভব হয় খেলতে পারেন। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। এ বিষয়ে মিনহাজুল আবেদিন বলেন, ‘এবার একটা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যেন প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টগুলোতে অন্তত ৫০ ভাগ ম্যাচ খেলতে পারে। এটা যদি করতে পারি তাহলে আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য অনেক উপকার হবে।’ এ ছাড়াও তিনি জানিয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য আবারো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলাকে বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা চলছে। যা কিনা সামনের মৌসুম থেকেই শুরু হতে পারে।’