ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

চলতি পথে

নামফলকের মোহ অতঃপর ডাস্টবিন...

শুভ কিবরিয়া
৭ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার
mzamin

অন্যকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করার যে প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন থাকে, বাংলাদেশের রাজনীতি ও প্রশাসনে তার ধারাবাহিকতা এখন আর সচল থাকছে না। এটা এক অর্থে খুবই বিপজ্জনক। কেননা, ক্ষমতা চলে গেলেই ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার এই সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্রকেই বিপন্ন করে


কিশোরগঞ্জের হাওরের মুখে ঢুকতেই যে উপজেলার অবস্থান তার নাম করিমগঞ্জ। এই উপজেলা যে সংসদীয় আসনে পড়ে সেটার নাম তাড়াইল-করিমগঞ্জ। এই আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির সদস্য। এক সময় এখানকার এমপি ছিলেন বিএনপির সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক। বিএনপি তখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছে। এই মেয়াদে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রথম দশক চলছে। এই উপজেলা পরিষদের চত্বরে বেড়াতে গেছি। পুরনো বিল্ডিং, পরিত্যক্ত বিল্ডিং আছে অনেকগুলো।

বিজ্ঞাপন
ঘুরে ফিরে সেগুলো দেখছি। দেখি একটা জায়গা বেশ জঙ্গল হয়ে পড়েছে। বড় বড় ঘাসে ছেয়ে আছে। বিকালে সেখানে গরু চরার লক্ষণ মিললো। সাক্ষাৎ তাজা গোবরের ঢিপির ফাঁকে দেখি একটা পুরনো প্রস্তর ফলক। সেখানে এই উপজেলা পরিষদের একটা অংশের উদ্বোধনের দিন-ক্ষণের সঙ্গে ড. ওসমান ফারুকের নাম। প্রস্তর ফলকটি বিবর্ণ হয়ে গেছে প্রায়। লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা প্রস্তর ফলকটি দেখে মায়াই লাগলো। এক সময়ের ক্ষমতাবান শিক্ষামন্ত্রী, নিশ্চয় এলাকায় যখন আসতেন, কত লোক-লস্কর, পাইক-পেয়াদা, আমলা-সান্ত্রী পরিবেষ্টিত হয়ে থাকতেন!  ড. ওসমান ফারুক এখন প্রায় লাপাত্তা। 

এলাকায় তার বাবার নামে পরিচালিত স্কুলসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সচল আছে কেবল। সেখানেও পরিচালনা কমিটিতে বহু বদল ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের হাতেই এখন সেসবের চাবিকাঠি।  সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর কথা মনে পড়লো সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘুরতে গিয়ে। এই উপজেলা পরিষদে নতুন বহুতল বিল্ডিং হয়েছে। সুবিস্তৃত পরিষদ চত্বরে একটা হলরুম আছে। একটা লাইব্রেরি ভবন আছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই লাইব্রেরি ভবনে বইছাড়া আর সবই আছে। লাইব্রেরি ভবনের চকচকে নামফলকে ক্ষমতাবানদের নামও আছে। লাইব্রেরিতে ঢোকার গেটে একটা বড় তালাও আছে। ভেতরে হয়তো সাপ-খোপের চলাচলও আছে! শুধু লাইব্রেরিটারই কোনো জীবন নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ আর আমলারা যে কত পঠনবিমুখ, প্রতিষ্ঠানবিমুখ হয়ে পড়েছে দেশের উপজেলা পরিষদের ভবনগুলোতে লাইব্রেরির ধ্বংসদশা তার জাজ্জ্বল্যমান দৃষ্টান্ত। কতভাবে, কত উপায়ে এখানে উন্নয়নের টাকা-পয়সা গড়াগড়ি খায়, কিন্তু একটা লাইব্রেরি সচল রাখা যায় না। 

কারও এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ, কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। স্থানীয়ভাবে সুশীল, বিদ্ব্যৎ সমাজের মানুষেরাও এতটাই বই-বিমুখ, পঠনবিমুখ হয়ে পড়েছে যে, চোখের সামনে লাইব্রেরিগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অথচ কারও কোনো বেদনা, কারও কোনো ভাবনা নেই। এই লাইব্রেরির ভবনের চকচকে নতুন নামফলক দেখছি। নামফলকে পাওয়ারফুলদের নামও দেখছি। দেখতে দেখতে একটু নিচে চোখ রাখতেই একটা ঝুলন্ত ডাস্টবিন চোখে পড়লো। রঙ্গিন ডাস্টবিন। মাঝে উন্নয়নের মোড়কে এরকম ডাস্টবিন দেয়ার একটা ঝোঁক চালু হয়েছিল। ঢাকা শহরেও সড়কে সড়কে এক সময় এসব ঝুলন্ত ডাস্টবিনের বেশ চল এসেছিল। তারপর হাওয়া। এখানকার ডাস্টবিনটা স্থানীয় পৌরসভার তৈরি। ডাস্টবিনটার জৌলুস এখন কমে এসেছে প্রায়। বলতে গেলে ব্যবহারও আর হয় না। স্মৃতি হয়েই দাঁড়িয়ে আছে। তবে সেখানেও পৌরসভার মেয়র সাহেবের নাম লেখা হয়েছে যত্ন করেই। ডাস্টবিনের গায়ে নিজের নাম লেখানোর সুযোগও হাতছাড়া করেননি এ জনপ্রতিনিধি। হঠাৎ দেখি ডাস্টবিনটা নিজেই যেন কিছু একটা আড়াল করে রেখেছে। ভালো করে নজর ফেলতেই অবাক হয়ে যাই। ডাস্টবিনের আড়ালে আছে দুটো শ্বেতপাথরের নামফলক। এক প্রস্তরখণ্ডে একজন মন্ত্রী, অপরটিতে একজন আমলার নাম লেখা। 

আমি কৌতূহলী হয়ে উঠলাম। ছবি তুললাম। ভালো করে পড়ার চেষ্টা করলাম। ডাস্টবিনের আড়ালে উপরে যে নামফলকটি আছে, তাতে লেখা আছে, ‘উন্নীত মধুপুর থানা। জেলা-টাঙ্গাইল। শুভ উদ্বোধন করেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ, জি, মাহমুদ। তাং-১৫ এপ্রিল ১৯৮৩।’ নিচের প্রস্তর ফলকে লেখা আছে, ‘উপজেলা পরিষদের বর্ধিত ভবন ও হলরুম সংস্কার। শুভ উদ্বোধন করেন ডা. এ. এম. পারভেজ রহিম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মধুপুর, টাঙ্গাইল। তারিখ ০৭/০৮/২০০৮ইং। ঠিকাদার: মেসার্স নাইজ অ্যান্ড রশিদ (জেভি), দেওলা, টাঙ্গাইল।’ এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী সামরিক আমলা ও সাবেক মন্ত্রী এ জি মাহমুদ মাত্র চার দশকের ব্যবধানেই ডাস্টবিনের আড়ালে পড়ে গেছেন। ওই যে গান আছে না- ‘পাথরে লেখো নাম সে নাম মুছে যাবে, হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে...’। শুধু প্রস্তর ফলকে নাম লেখালেই চলে না। মানুষের হৃদয়েই নাম লেখাতে হয় সুকীর্তি দিয়ে। এ জি মাহমুদের নামফলকের নিচেই নিজের নামটি লেখানোর লোভ সামলাতে পারেননি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. এ. এম. পারভেজ রহিম। 

 

 

ওপরে মন্ত্রীর নামফলকের নিচে ২৫ বছর পর একটা উপলক্ষ পেয়ে অমর হতে চেয়েছেন বেচারা সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার এই ইউএনও সাহেবও। তিনিও এখন ডাস্টবিনের সহবাসী হয়ে আছেন।  এই ঘটনা আমাদের কতগুলো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। প্রথমত, যারা এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তর ফলকের সামনে অরুচিকরভাবে ডাস্টবিনটি বসিয়েছেন তারা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। দ্বিতীয়ত, প্রতিষ্ঠানের প্রস্তর ফলকের একটা প্রাতিষ্ঠানিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। সেটা সংরক্ষণের বিষয়টি কারও মাথায় আসেনি। বছরের পর বছর ধরে এখানে রাজনীতিবিদ এবং আমলারা এই পরিষদ চালিয়েছেন, তাদের চোখের সামনে এরকম একটা অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজ হয়েছে, অথচ কেউই ভ্রুক্ষেপ করেননি। তৃতীয়ত, প্রস্তর ফলকে নাম লেখার একটা প্রবণতা রাজনীতিবিদদের বহু পুরনো। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ব্যানারে, ফেস্টুনে, পোস্টারে, প্রস্তর ফলকে সর্বত্রই রাজনীতিবিদরা নিজের নামের মধ্যেই অমরত্বের স্বপ্ন দেখতে পান। বিশেষ করে যখন তারা ক্ষমতার মধ্যে থাকেন, তখন তাদের এই প্রবণতা বহুগুণে বেড়ে যায়। হালে আমলাদের মধ্যেও এই প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

রাজনীতিবিদদের দুর্বলতা আর অযোগ্যতায় এখন আমলারাও বিভিন্ন পর্যায়ে নিজের নাম চিরস্থায়ী করার বাসনায় পড়ে গেছেন। তারা যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী সেটা তারা প্রায়শই ভুলে যেতে বসেছেন। চতুর্থত, অন্যকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করার যে প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন থাকে, বাংলাদেশের রাজনীতি ও প্রশাসনে তার ধারাবাহিকতা এখন আর সচল থাকছে না। এটা এক অর্থে খুবই বিপজ্জনক। কেননা, ক্ষমতা চলে গেলেই ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার এই সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্রকেই বিপন্ন করে। পুনশ্চ: এই লেখাটি শেষ করি একটা দার্শনিক গল্প দিয়ে। বহুদিন মরুভূমিতে ঘুরতে ঘুরতে এক দরবেশ এক গ্রামে এসে পৌঁছুলেন। পশুপালন করেই জীবন কাটাতে হয় ওখানকার মানুষদের। রাস্তায় দরবেশ একটি লোককে জিজ্ঞাসা করলেন, একরাত থাকার মতো জায়গা পাওয়া যাবে কিনা? লোকটা মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো, ‘আমাদের গ্রামে তো এখন কোনো থাকার জায়গা নেই। কেই বা আসে এখানে। তবে শাকির সাহেবের বাড়িতে যেতে পারেন। উনি খুশি হয়েই লোকজনকে আশ্রয় দেন। -সে বুঝি খুব ভালো মানুষ? হ্যাঁ, এমন মানুষ দ্বিতীয়টি আর এ তল্লাটে নেই। টাকা-পয়সাও প্রচুর। হাফিজ তার ধারে কাছেও আসবে না। -হাফিজ কে? -পাশের গ্রামে থাকে। চলুন, শাকির সাহেবের বাড়ির পথটা আপনাকে দেখিয়ে দেই। 

শাকির আর তার পরিবারের সবাই দরবেশকে খুবই আপ্যায়ন করলো। একরাতের বদলে দরবেশ বেশ কয়েকদিন থেকে গেলেন। যাবার সময় শাকির পথের জন্য প্রচুর খাবার, ফল-ফলাদি দিয়ে দিলেন। দরবেশ তাকে দোয়া করে বললেন, ‘আল্লাহ তোমার আরও সমৃদ্ধি দিন’। শাকির হেসে বললো, ‘দরবেশ বাবা চোখে যা দেখছেন, তাতে ভুলবেন না। এ-ও একদিন চলে যাবে।’ শাকিবের কথা শুনে দরবেশ অবাক হয়ে গেলেন। কি মানে এই কথার? তারপর নিজেকেই বললেন, আমার পথ তো প্রশ্ন করার নয়। নীরবে শুনে যেতে হবে। সব কথার মানে একদিন নিজে থেকেই ধরা দেবে। দেশে-দেশে ঘুরে বছর কয়েক কেটে গেল। দরবেশ আবার সেই গ্রামে ফিরে এলেন। শাকিরের খোঁজ নিয়ে জানলেন সে এখন পাশের গ্রামে থাকে, হাফিজের বাড়িতে কাজ করে। সেখানে গিয়ে শাকিরের সঙ্গে দেখা করলেন দরবেশ। শাকির অনেকটাই বুড়িয়ে গেছে, পোশাক পরিচ্ছদও মলিন। অবশ্য আগের মতোই দরবেশের খাতির যত্ন করলো শাকির।- এই অবস্থা কি করে হলো তোমার? দরবেশ জানতে চাইলেন। তিন বছর আগে এক ভয়াবহ বন্যা হলো। পশু-পাখি, ফসল-খেত সব ভেসে গেল। বাড়ি ডুবে গেল। 

তখন হাফিজ ভাই’র দরজাতে এসে দাঁড়াতে হলো। দরবেশ কয়েকদিন কাটিয়ে শাকিরের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। আগের মতোই যত্ন-আত্তি পেলেন। যাবার সময় শাকিরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার এই অবস্থা দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। যদিও জানি বিনা কারণে আল্লাহ কিছু করেন না।’ - শাকির হেসে বললো, ‘এ-ও একদিন চলে যাবে।’ আরও কয়েক বছর ঘুরেফিরে দরবেশ একই গ্রামে হাজির হলেন। দেখলেন শাকির আবার বড়লোক হয়ে গেছে। হাফিজের কোনো সন্তান ছিল না। মারা যাবার আগে তার সব সম্পত্তি শাকিরকে দিয়ে গেছে। এবারও কয়েকদিন শাকিরের কাছে থাকলেন তিনি। যাওয়ার সময় শাকির আবারো বললো, ‘এ-ও একদিন চলে যাবে।’ দরবেশ এবার মক্কা শরীফ ঘুরে এসে শাকিরের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। শাকির মারা গেছে। দরবেশ শাকিরের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে গেলেন। কবরের গায়ে লেখা আছে, ‘এ-ও একদিন চলে যাবে।’ দরবেশ ভাবলেন কবর আবার বদলাবে কীভাবে? এরপর থেকে প্রতি বছর দরবেশ শাকিরের কবর দেখতে আসতেন। কবরের পাশে বসে দোয়া করতেন। একবার এসে দেখলেন বন্যায় সব ভেসে গেছে। কবরের নিশানাও নাই হয়ে গেছে। দরবেশ আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বললেন, ‘এ-ও একদিন চলে যাবে।’ দরবেশের এখন বয়স হয়েছে। আগের মতন আর চলাফেরা করতে পারেন না। এক জায়গায় থিতু হয়েছেন। বহু মানুষ তার কাছে আসতেন উপদেশ নিতে। 

তার মতো জ্ঞানী নেই, খবরটা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজার উজিরে আজমের কানেও গেছে খবরটা। ইতিমধ্যে দেশের রাজার ইচ্ছা হয়েছে হাতে এমন একটি আংটি পরবেন, যেখানে এমন কিছু লেখা থাকবে, যেটি পড়লে যখন বিষণ্ন থাকবেন, তখন সেটি পড়ে খুশি হবেন। আবার খুশি থাকলে লেখাটি পড়ে বিষণ্ন হবেন। এই লেখার খোঁজে দেশের সব জ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী বিফল হলেন। কারও পরামর্শেই সন্তুষ্ট নন রাজা। তখন উজিরে আজম পুরো ঘটনা জানিয়ে দরবেশকে চিঠি লিখলেন, আপনার সাহায্য ছাড়া এ সমস্যার সমাধান হবে না। ফলে, আপনার একবার আসা দরকার। দরবেশের শরীর আর চলাফেরার উপযুক্ত নয়। তিনিও চিঠিতে তার পরামর্শ জানিয়ে দিলেন। রাজাকে আংটি উপহার দেয়া হলো। রাজার মন খারাপ, ক’দিন ধরে। আংটির দিকে হতাশাভরে তাকালেন। আংটির গায়ের লেখাটি পড়তেই হো হো করে হেসে উঠলেন। -আংটির গায়ে লেখা ছিল, ‘এ-ও একদিন চলে যাবে।’  

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, [email protected]

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status