অনলাইন
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, বিক্ষুব্ধদের হামলায় নিহত ২
অনলাইন ডেস্ক
(৪ মাস আগে) ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৩:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১৫ অপরাহ্ন
ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি মন্দিরে আগুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন।
বৃহস্পতিবার রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী এলাকায় এ ঘটনার পর সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেছেন ফরিদপুরের ডিসি কামরুল হাসান তালুকদার। তিনি বলেন, পঞ্চপল্লী মন্দিরে আগুনের ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয় জনতা পাশের পঞ্চপল্লী স্কুলে অবস্থানরত নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, হিন্দু অধ্যুষিত পঞ্চপল্লীর কালী মন্দিরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই মন্দিরের পাশেই পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে নির্মাণশ্রমিকরা টয়লেট নির্মাণের কাজ করছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনতা তখন তাদের ওপর হামলা চালায়। তাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের বলেন, মাগরিবের নামাজ পড়ে আমি মাঠে বসেছিলাম। কিছু সময় পরে এই ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার অজিত বাবু আমাকে ফোন দেন। তিনি বলেন, আপনি দ্রুত আসেন, এখানে মন্দিরে আগুন দিছে। কে বা কারা? বললেন, এখানে লেবাররা আগুন দিছে। তাদেরকে ধরে রাখছি। আমি তাৎক্ষণিকভাবে এখানে আসলাম। এসে দেখি হাজার হাজার জনতা। আমি জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু দেখলাম যে পরিস্থিতি বেগতিক। এখানে আসলে প্রশাসন ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব না।
চেয়ারম্যান বলেন, আমি সরে গিয়ে প্রশাসনকে ফোন দিই, ইউএনওকে ফোন দেই। পরে প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতটুকুই।
কোন একটা গোষ্টি বাংলাদেশে দাঙ্গা লাগানোর জন্য খুবই চেষ্টা করছে। বিশেষ করে হিন্দুত্ববাদী মোদীকে পুনরায় নির্বাচিত করতে হলে এর বিকল্প কিছু নাই। এমনিতেই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ছাল-বাকলা উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন দাংগা নামক আগুনটা কোনমতে লাগাতে পারলে হিন্দুত্ববাদীদের অখন্ড-ভারত কায়েম করা লময়ের ব্যপার মাত্র।
দাঙ্গা লাগানোর পাঁয়তারা করছে।
এই ঘটনায় মেম্বার জড়িত আছে, তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
এখন কি গণহারে হিন্দুদের নামে মামলা দেয়া হবে? এই কাজটা মুসলমানরা করলেতো কয়েক হাজার লোকের নামে মামলা করে কয়েক গ্রাম খালি করে ফেলতো।
লক্ষণ তো ভাল নয়।