অনলাইন
নির্বাচন কমিশন-দুদকসহ কোনো প্রতিষ্ঠানই কাজ করছে না: রেহমান সোবহান
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৭:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০২ অপরাহ্ন
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও নির্বাচন কমিশনের মতো জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানই কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান অর্থনীবিদ প্রফেসর রেহমান সোবহান। বৃহস্পতিবার ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ: ইকোনমি, পলিটিকস, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
রেহমান সোবহান বলেন, জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। সবাই কি একই বিচার পাচ্ছে? পুলিশ সবাইকে একই সেবা দিচ্ছে? সবাই ব্যাংক ঋণ পাচ্ছে? আসলে নির্বাচন কমিশন ও দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে না। তিনি বলেন, নতুন একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী রাজনীতিতে আসছে। কিন্তু আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে এখানে ভালো নির্বাচন হতো। যে পদ্ধতি পাকিস্তান ও নেপাল গ্রহণ করেছিল। দুই দলের রাজনীতির ভারসাম্য রক্ষা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো রওনক জাহান বলেন, এর আগে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ নিয়ে এ রকম আরেকটি বই করা হয়েছিল। তখন ধারণা করা হয়েছিল, বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে ভালো জায়গায় যাবে। তখন অর্থনীতি নিয়ে অতটা উচ্চাশা ছিল না। এখন রাজনীতি নিয়ে হতাশা তৈরি হয়েছে, বরং অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে।
বইটির আরেকজন লেখক সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান দ্বৈত উত্তরণের প্রসঙ্গে বলেন, দেশের যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে, এই উত্তরণ তারই প্রতিফলন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, এবং ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণ হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ মধ্যম আয় বা ঋণের ফাঁদে পড়ে কি না। শ্রমঘন শিল্পের ওপর ভর করে এতদিন যে উন্নয়ন হয়েছে, সেখান থেকে পরবর্তী পর্যায়ে যেতে হবে। অর্থাৎ উচ্চ প্রযুক্তিভিত্তিক উৎপাদন ও রপ্তানিতে যেতে হবে। কিন্তু গত ১০ বছরে উচ্চ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি এক শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। যদিও ভিয়েতনাম এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গেছে।
একশো পারসেন্ট সহমত!! এতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কিভাবে সম্ভব,,,,
প্রতিষঠানগুলো কাজ করছে না। বড্ড দেরিতে বোধোদয়??
উন্নয়ন তো হচ্ছে! কিন্তু বিপুল বৈদেশিক ঋণের কি হবে? প্রযুক্তিগত টেকশই উন্নয়ন কি হয়েছে? এক গার্মেন্ট শিল্প কিংবা শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স এর যে কোন একটিতে হালকা ধাক্কা লাগলে আমাদের অর্থনীতি কোন্ পর্যায়ে চলে যাবে?