শেষের পাতা
পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরছেন যাত্রীরা
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের টানা পাঁচদিনের ছুটিতে ভারত যাওয়া যাত্রীরা দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। এতে বন্দরে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। দেশে ফিরতে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বন্দরে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের নিরাপত্তাকর্মীরা। খুলনার সাব্বির হোসেন বলেন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। যাওয়ার দিন বেনাপোল-পেট্রোপোল নো-ম্যানসল্যান্ডে লম্বা লাইনে যে ভিড় তাতে ইমিগ্রেশন সারতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ডেস্ক অফিসার কম থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ঢাকার সরকারি চাকরিজীবী আলাউদ্দিন বলেন, এবার টানা পাঁচদিনের ছুটি পেয়ে বেড়ানোর জন্য পরিবারের সঙ্গে ভারতে গিয়েছিলাম।
ছুটি শেষ হওয়ায় দেশে ফিরতে হয়েছে। তবে মঙ্গলবার (১৬ই এপ্রিল) ফিরে আসার সময় বেনাপোলের বিপরীতে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। ডেস্কের পরিমাণ বেশি থাকলেও অফিসার বসেন মাত্র তিনজন। কাজও করেন ধীরগতিতে। এদিকে ভারত ফেরত যাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, দূরপাল্লার বাসে আসন-সংকটের কথা বলে বেশি ভাড়া আদায় করছে পরিবহন কাউন্টারগুলো। সাধারণ সময় ঢাকার ভাড়া পরিবহনভেদে জনপ্রতি ননএসি ৫৫০-৭৫০ টাকা ও এসি ১০০০-১২০০ টাকা হলেও এখন চাইছে ননএসি ৮০০ টাকা ও এসি ১৫০০-২০০০ টাকা। ফেরার পথে পকেটে টাকা কম থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে যাত্রীদের। বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেন। ভ্রমণকর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ১৪০ কোটি টাকা আয় হয়।
সে হিসাবে সেবার মান বাড়েনি। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে দ্রুত যাতে তারা বন্দরে পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে পারেন সেজন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, গত ১০ই এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পাঁচদিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩২ হাজার ২৮৩ জন যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যা অন্য সময়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে থাকে। এবার রেকর্ডসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ১৩ই এপ্রিল থেকে ১৬ই এপ্রিল সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার যাত্রী দেশে ফিরেছেন। ঈদ ও নববর্ষ উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটি থাকায় তারা ভ্রমণে ও চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে দ্রুত পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে ডেস্ক অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যাঁরা ভারতে ভ্রমণ করতে যায় তাঁদেরকে বিএনপি সুপরামর্শ দিতে পারে-- ভারতের ভ্রমণ না করার জন্য...।
মালামাল রেখে দিচ্ছে ইচ্ছে করে। কোন কারণ ছাড়া । এই বিষটি নিউজে আসলোনা কেন।
নিজের দেশ বাংলাদেশে অনেক দর্শনীয় স্থান আছে।সেসব স্থান ভ্রমণ করুন।
কারণে, অকারণে প্রতিবেশী দেশে ভ্রমন করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় করবেন না।