খেলা
বিশ্বকাপের দেড় মাস আগে হতাশার কথা শোনালেন শান্ত
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার২০২০ ওমান-দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ফিরে চরম হতাশা নিয়ে। ২০২১ এ অস্ট্রেলিয়াতেও একই চিত্র। সবশেষ ২০২৩ ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে তো মান নিয়ে ফেরাই ছিল কঠিন বিষয়। অথচ প্রতিটি আসরের আগেই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে ছিল প্রত্যাশার বেলুন। কিন্তু টাইগারদের পারফরম্যান্সে তা চুপসে যেতে দেরি হয়নি। জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তবে এবার এই আসর নিয়ে নেই কোনো উত্তেজনা কিংবা আবেগ। বারবার হতাশ হওয়াতে দর্শকদের কণ্ঠেও উচ্চ আশা। তবে দেশ বলে কথা। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে এই বিশ্বকাপকে ঘিরে দর্শকরা নিচ্ছেন প্রস্তুতি। মনের কোণে সুপ্ত বাসনা হয়তো এবার ঘুরে দাঁড়াবে টাইগাররা। তবে আসরের দেড় মাস বাকি থাকতেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে শোনা গেল হতাশার সুর। গতকাল বাণিজ্যিক এক অনুষ্ঠানে আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে প্রত্যাশার চাপ নিতে না করলেন টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই আমি দেখি, বিশ্বকাপের আগে এসব নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা... এটা করবো, সেটা করবো। আমার একটা অনুরোধ থাকবে আপনাদের কাছে, প্রত্যাশাটা খুব একটা করার দরকার নেই। প্রত্যাশাটা সবার মনের ভেতরেই থাক। আপনারাও জানেন, বাংলাদেশ দল কী চায়। আমরা ক্রিকেটাররাও জানি, আমরা দলকে কতো দূর নিয়ে যেতে চাই। সবাই চায় যে, আমরা অনেক বড় কিছু করি। তবে এটা নিয়ে যখন অনেক বেশি মাতামাতি হয়, তখন আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না।’ প্রায় দেড় মাস পরেই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। ৭ই জুন আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। শেষ অবধি আশানুরূপ ফল করতে পারে না বাংলাদেশ। পরে এ নিয়ে সমালোচনাও হয় অনেক। এবারই প্রথমবার বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অনেকদিন ধরে দলের সঙ্গী তিনি। হয়তো তার কণ্ঠে হতাশার কারণটা আগের আসরগুলোর বাজে অভিজ্ঞতা। তবে তাদের নিবেদনে কোনো ঘাটতি থাকবে না তাও জানিয়েছেন স্পষ্ট করে। তিনি বলেন, ‘আসলে দরকার নেই। ফল যখন হবে, তখন এমনিই বোঝা যাবে। আমি একটা জিনিস বলতে পারি, এই দলটা যে খেলবে, এরা প্রত্যেকটা ম্যাচে জেতার জন্য ১২০ শতাংশ দেবে। এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি এবং প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবে। প্রতি বছর আমরা যখন খেলি, প্রত্যেকটা ম্যাচ অনেক আশা নিয়েই খেলি। তো আমরা যেটা পারি, সে জিনিসটা করারই চেষ্টা করবো। তবে আগে থেকেই অনেক আশা করছি, এবার অনেক বেশি প্রত্যাশা করছি... একটাই অনুরোধ করবো, আমরা যেন এসব নিয়ে বেশি মাতামাতি না করি।’
খেলা চলাকালীন সময়ে ( ১ থেক দেড় মাস) আপনারা সোস্যাল মিডিয়া কিংবা পত্রিকা থেকে দুরে থাকবেন। আর সমর্থকদের যদি প্রত্যাশা বা আপনারা জয়ী হওয়ার আশা না থাকে, তাহলে টাকা পয়সা নষ্ট করে ওখানে যাওয়ার দরকার নেই। দেশেই শুয়ে বসে বড় বড় কথা বলে ঘুমান। তাতে আপনাদের আপনজনরা খুশি থাকবে।।