ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

সার্টিফিকেট তৈরিতে অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও জড়িত: ডিবি

স্টাফ রিপোর্টার
৫ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ.কে.এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে বোর্ডের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছেন। তাদের ম্যানেজ করেই চলতো এই সার্টিফিকেট জালিয়াতির কাজ। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগারি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পায় ডিবি। এই সার্টিফিকেট জাল নয়। সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়, শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাতেন। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন। তারপর রেজাল্ট অনুযায়ী টাকা নিতেন। তবে ৩৫ হাজারের কমে কোনো সার্টিফিকেট বিক্রি করতেন না। এরপর সার্টিফিকেট বানানোর পরে সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। এসব সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছে, অনেকে এদেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, আবার অনেকে চাকরিও করছে।

বিজ্ঞাপন
এভাবে দীর্ঘদিনে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছে। ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ.কে.এম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন। শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ বের করার বিষয়ে শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন, বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করতেন তিনি। সকলের সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করতেন তিনি। তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানতেন। সকলেই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে অপরাধ গোপন রাখতেন। গোয়েন্দা প্রধান বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে অভিযোগ উঠলে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেককিছু বেড়িয়ে আসছে। ফলে সেটাও ধামাচাপা দেয়া হয়। নিজেরা না বোঝার দোহাই দিয়ে অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও বিষয়টি টের পেয়ে চুপ হয়ে যায়। ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেছেন, শামসুজ্জামান আমাদের বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সকলেই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাইকে ম্যানেজ করে আসল সার্টিফিকেট বানিয়ে সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট কোন কোন প্রতিষ্ঠান কিনেছেন সেগুলো জানার চেষ্টা চলছে। আমরা সবকিছুই তদন্ত করছি। তার কাছ থেকে অনেক সার্টিফিকেটও জব্দ করা হয়েছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোনো রাঘব বোয়াল জড়িত থাকার তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

পাঠকের মতামত

জাতীকে নুতন করে ধ্বংস করার কিছু নেই ,জাতী অলরেডি ধ্বংস হয়েই আছে ।।

কাজী মুস্তাফা কামাল
৬ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন

শেষ পর্যন্ত কথিত রাঘব বোয়ালের সন্ধান আর পাওয়া যাবেনা। এটাই নিয়ম। নকল, জাল, ভুয়া, ভেজাল ঘুষ দুর্নীতি অবৈধভাবে টাকা পাচার এ শব্দগুলো এখন সার্বজনীন হয়ে গেছে। এসব শুনকে আমরা এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি, আমাদের সয়ে গেছে। সরকারি পর্যায়ে কোন অনিয়মের জবাবদিহী করার প্রয়োজন হয়ন -- সব জায়গা থেকে সবাই এখন স্বাধীন ----

মোঃ শাহ আলম
৫ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৪:৩৪ অপরাহ্ন

কুচ নেহি হোগা

Abdul Matin
৫ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৩:০১ অপরাহ্ন

টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ.কে.এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে বোর্ডের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছেন। তাদের ম্যানেজ করেই চলতো এই সার্টিফিকেট জালিয়াতির কাজ। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।জাতি ধ্বংসের মূল কারিগর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত!

Kalim
৫ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১২:১৯ অপরাহ্ন

রাঘব বোয়াল গ্রেপ্তা‌রের খব‌রের অ‌পেক্ষায় রইলাম!!??!!

এম এ ওয়া‌হিদ
৫ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ২:১৫ পূর্বাহ্ন

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status