শেষের পাতা
জরিপে ৯৭ শতাংশ বুয়েট শিক্ষার্থীর ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে মত
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
৪ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবারবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি থাকা না থাকা নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যে জনমত যাচাইয়ে একটি জরিপের আয়োজন করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল মেইল ব্যবহার করে দুই দিনব্যাপী পরিচালিত জরিপের ফলাফল গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বুয়েটে বর্তমানে অধ্যয়নরত সর্বমোট ছাত্রসংখ্যা ৫৮৩৪ জন। এই জরিপে তাদের সবাই অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে মত দিয়েছেন ৫৬৮৩ জন। অর্থাৎ ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন। সুতরাং শিক্ষার্থীদের অবস্থানের যথার্থতা এখানে প্রমাণিত। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য, অপপ্রচার ও গুজব চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, অতি সমপ্রতি আমরা জানতে পারি যে, ৩রা এপ্রিল বুয়েট ইস্যুতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অবস্থান স্পষ্টকরণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহাবস্থানের দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। ছাত্রদল বলছে, ‘ছাত্রদল একটি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠন হিসেবে সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি চর্চায় বিশ্বাসী। ছাত্রদল বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে।’ আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা, ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে চলমান আন্দোলনের এই সংকটপূর্ণ মুহূর্তে ছাত্রদলের এমন বক্তব্যকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করি এবং তাদের এই রাজনৈতিকভাবে মদতপুষ্ট সংহতিকে আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করছি।
২০২০-এর জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা লঙ্ঘন করে ছাত্রদল যখন বুয়েটে তাদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে তখনো আমাদের তৎকালীন অগ্রজ ব্যাচ ‘পৌনঃপুনিক ১৫’ তাদের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে এবং ভিসি ও ডিএসডব্লিউ স্যার বরাবর ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করে।