বিশ্বজমিন
কেজরিওয়ালের বিচার নিয়ে জার্মানির বক্তব্যকে নগ্ন হস্তক্ষেপ বলছে ভারত
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৩ মার্চ ২০২৪, শনিবার, ৩:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:২৪ অপরাহ্ন
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার নিয়ে জার্মানির করা মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। জার্মানির মন্তব্যকে তারা নগ্ন হস্তক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ। ভারতে জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি মিশন প্রধান জর্জ এনজওয়েইলারকে তলব করে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবাদ জানিযেছে। শনিবার সকালে দিল্লির সাউথ ব্লকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে এনজওয়েইলারকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। সাক্ষাৎ থেকে বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, (জার্মানির) এমন মন্তব্যকে আমাদের বিচারিক প্রক্রিয়া ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ এবং একে খর্ব করেছে বলে দেখা হচ্ছে। আইনের শাসন সহ একটি গতিশীল ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের দেশ ভারত। দেশে বা গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনো আইনি মামলা চলবে তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজস্ব গতিতে। এসব ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বমূলক ধারণা সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত।
উল্লেখ্য, জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, তারা প্রত্যাশা করে কেজরিওয়াল নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতিত্বহীন বিচার পাবেন।
দেবতার বেলায় লীলা খেলা পাপ কেবল গরীবের বেলায় ।
ধিক্কার ভারতকে
ভারত গনতন্ত্রের নাম ভাঙ্গিয়ে পশ্চিমাদেরকে ধোকা দিচ্ছে! ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার দিকে ভালো করে নজর দিলে সেটাই বোঝা যায়! দায়ীত্বরত একজন মুখ্যমন্ত্রীকে এ্যারেস্ট করে নিয়ে যাওয়ার দ্বারা নরেন্দ্রমোদীর কর্তৃবাদি মনোভাব ফুটে উঠলো!
নরেন্দ্র মোদি ভারতের সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলো ধংস করছেন গত ১০ বছর ধরে।
কেজরিওয়ালের বিচার নিয়ে জার্মানির বক্তব্য যদি নগ্ন হস্তক্ষেপ হয় তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের কর্মকাণ্ড কী ?? যা শাসকদল প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন সভায় গর্বের সাথে স্বেচ্ছায় বলে যাচ্ছে।
ভারতের গনতন্ত্র যেমন দুর্বল হচ্ছে।তেমন অন্য দেশের গনতন্ত্র কে দুর্বল করতে উৎসাহ দিচ্ছে।জার্মান বরাবরই একটি মানবাধিকার ও গনতান্ত্রিক দেশ, জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মত আমরাও প্রত্যাশা করবো একজন নির্বাচিত গনপ্রতিনিধি সঠিক বিচার যেন পায়।
আর বাংলাদেশে তোমরা যেটা করছো সেটাকে কি হস্তক্ষেপ বলে?
ভারতের যেমন গনতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে,তেমনি ভারত অন্য দেশের গনতন্ত্র জাতে দুর্বল হয়,তার ও উৎসাহ দিচ্ছে।জার্মান বরাবরই মানব অধিকার ও গনতন্ত্রে বিশ্বাসি একটি দেশ।
নিজেরা অন্য দেশের বিরুদ্ধে না গলাতে ভালই লাগে
ভারতকে পছন্দ না করলেও ভারতের কিছু ঈর্ষনীয় নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশটি কর্তৃত্ববাদীর দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর এর পুরোপুরি চিত্র ইতিমধ্যে বাংলাদেশে দৃশ্যমান।
জার্মানি যথার্থ বলেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া খুবই নেতিবাচক, একরোখা এবং দম্ভভরা। কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা অবস্থায় যেভাবে জেলে নেয়া হয়েছে, তা তাকে হেনস্থা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাকে তার প্রাপ্য সন্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি যে বৈষম্যহীন বিচার পাওয়ার অধিকারী তা জার্মানি ভারতকে একটু স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এতে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের তেলে বেগুনে জ্বলে উঠা লজ্জাজনক।
আমরাও প্রত্যাশা করি কেজরিওয়াল নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতিত্বহীন বিচার পাবেন। ভারতে হিন্দুত্ববাদী সরকার কতৃত্ববাদের দিকে ঝুঁকেছে, গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ আর ন্যায্য নয়।
শুধু জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কেন, আমরাও কেজরিওয়ালের নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতিত্বহীন বিচার পাওয়া নিয়ে যৌক্তিক সংশয়ে আছি।