ঢাকা, ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

শরীর ও মন

স্কোলিওসিস-এর কারণে যদি মেরুদণ্ড বেঁকে যায়

ডা. মো. বখতিয়ার
২০ মার্চ ২০২৪, বুধবার

স্কোলিওসিস  হলো একটি মেরুদণ্ডের  এক ধরনের সমস্যা যেখানে জন্মগত বা বয়সজনিত ক্ষয় এর কারণে মেরুদণ্ড বেঁকে যায়, ফলে ঘাড়, কোমর এবং মেরুদণ্ড সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।  এই  রোগটি সাধারণত বয়ঃসন্ধি এবং বার্ধক্যে  সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এর কারণ পুরাপুরি নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।
 

# স্কোলিওসিস  সম্পর্কে কিছু ধারণা
স্কোলিওসিস  সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের ছেলেদের তুলনায় ইডিওপ্যাথিক স্কোলিওসিস হওয়ার সম্ভাবনা ১০ গুণ বেশি
# বিশ্বের প্রায় শতকরা ৩ ভাগ মানুষ (২০ কোটি) প্রতিবছর  স্কোলিওসিস এ আক্রান্ত হয়।
সারা বিশ্বে ধরন ভেদে প্রতি ৪০ জনে ১ জন স্কোলিওসিস এ ভুগছেন।
# এটি জীবনের প্রথম অথবা শেষ পর্যায় দেখা যায়। বাচ্চাদের মধ্যে, এটি ৮-১২ বছর বয়সের কাছাকাছি দেখা যায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এটি সাধারণত ৬০  বছর বয়সের কাছাকাছি দেখা যায়।
# শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ স্কোলিওসিসের কারণে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
স্কোলিওসিস আক্রান্ত শতকরা ৮০ ভাগ নারী মাসিকের সমস্যায় ভোগেন।
# স্কোলিওসিস সাধারণ জনসংখ্যার তুলনায় হওয়ার সম্ভাবনা অন্ধ ব্যক্তিদের ৫ গুণ বেশি এবং বধিরদের ৩.৭ গুণ বেশি প্রায় ৩০ ভাগ ক্ষেত্রে স্কোলিওসিস বংশগত হতে পারে।
# স্কোলিওসিস আক্রান্ত রোগীদের গড় আয়ু ১৪ বছর হ্রাস করে এবং মৃত্যুর হার ১৫% বৃদ্ধি করায়।
# স্কোলিওসিস আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ১০০ ভাগ ঘাড়, কোমর এবং মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগেন।
 

স্কোলিওসিসের ধরন:
বয়সভেদে স্কোলিওসিস ২ ধরনের হয়
Adult scoliosis (এডাল্ট স্কোলিওসিস)
Jvuenile scoliosis: (জুবেনাইল স্কোলিওসিস)
স্কোলিওসিসের কারণসমূহ  
# ছোটদের ক্ষেত্রে প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে স্কোলিওসিসের কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
#  বয়স্কদের ক্ষেত্রে স্কোলিওসিস মূলত মেরুদণ্ডের ক্ষয়জনিত কারণে হয়, কিছুক্ষেত্রে বয়স্কদের ক্ষেত্রেও কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
# আমেরিকান এসোসিয়েশন অফ নিউরোলজিক্যাল সার্জনস এর মতে, ১০%  স্নায়ুবিক, ১৫%  জন্মগত এবং ৬৫-৮০% ক্ষেত্রে স্কোলিওসিসের কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। আঘাত বা সংক্রমণ স্কোলিওসিসের আরেকটি কারণ।
 

স্কোলিওসিসের লক্ষণ সমূহ:  
১। অসম  কাঁধ, একদিকের কাঁধ আরেকদিকের থেকে বেশি উঁচু থাকা।
২। একটি দৃশ্যমান বাঁকা মেরুদণ্ড।
৩। পাঁজর এর হাড় একদিকে বেশি দৃশ্যমান।  
৪। অসম কোমর।
৫। একদিকে ঝুঁকে থাকা।
৬। শরীর একদিকে বেঁকে যাওয়া।
 

চিকিৎসা:
১। পর্যবেক্ষণ
২। ব্যায়াম
৩। ফিজিওথেরাপি
৪। ব্রেসিং
৫। সার্জারি শুধুমাত্র ৫-১০ ভাগ ক্ষেত্রে সার্জারি করা প্রয়োজন।
সার্জারি করলে স্কোলিওসিস ভালো হয় এবং রোগী ব্যথামুক্ত জীবন-যাপন করতে পারে।

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status