অনলাইন
‘সকালে অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য ১০-১৫ লাখ হিট পড়ে’
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২ জুলাই ২০২২, শনিবার, ১:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৪২ অপরাহ্ন
ট্রেনের টিকিটের চাহিদার তুলনায় রেল কর্তৃপক্ষের সক্ষমতার যে ফারাক রয়েছে তা কমাতে না পারলে মানুষের ভোগান্তির উত্তোরণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আজ দুপুরে কমলাপুর প্রধান রেলস্টেশনে ইসলামী ব্যাংকের দেয়া ট্রলি গ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশীদের ভোগান্তির বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার সিস্টেম এখন আর নেই। এখন সব অনলাইনে। আমরাও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। গত ঈদের আগে সহজ দায়িত্ব নিয়েছে। তারা কাজ করছে। টিকিটের কিভাবে অব্যবস্থাপনা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এগুলো তো অভিজ্ঞতা ছাড়া সম্ভব না। ডিজিটাল অপব্যবহার যেন আমরা সংশোধন করতে পারি, তার জন্য আমরা চেষ্টা করবো। এবারও যে ত্রুটিগুলো ধরা পরবে, সেগুলো যেন আগামী বছর না হয় সেই ব্যবস্থা করব।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেলের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। এবারের বাজেটেও ৫ম সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেল বিভাগে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এবার জয়দেবপুর থেকে স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে ঈদযাত্রার টিকিট দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ঢাকার ৬টি স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও প্রচণ্ড ভিড়। অনেকে অভিযোগ করছেন টিকিট পাচ্ছেন না। চাহিদার তুলনায় সক্ষমতা কম থাকায় এই অভিযোগগুলো আসছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি। মেগাপ্রকল্পগুলো শেষ হলে দুর্ভোগ কমে আসবে।
অনলাইনে টিকিট কাটা যাচ্ছে না- যাত্রীদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সকালে অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য ১০-১৫ লাখ হিট পড়ে। তাই সবাই অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারে না। আবার টিকিট কম থাকায় সবাই টিকিটও পায় না। গতকাল এই অভিযোগ ছিল বেশি। আজ অভিযোগ কিছুটা কমেছে। অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন।