অর্থ-বাণিজ্য
হুন্ডির সঙ্গে জড়িত হিসাব প্রতিদিন বন্ধ করা হচ্ছে: গভর্নর
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৬ মাস আগে) ১১ মার্চ ২০২৪, সোমবার, ৯:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:০৪ অপরাহ্ন
হুন্ডির সঙ্গে জড়িত হওয়া প্রতিদিন এক থেকে ২শ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
সোমবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর দফতরে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেশ থেকে অর্থপাচার ঠেকাতে হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
গভর্নর বলেন, প্রবাসীরা হয়তো ৫০০ টাকা দেশে পরিবারের কাছে পাঠাবেন, তখন সে ওখানেই পরিচিত কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে বলছেন দেশে তার পরিবারকে দিতে। ওই টাকা বিদেশেই থেকে যায়। তার বিপরীতে বাংলাদেশে কোনো একজন প্রতিনিধি টাকা প্রদান করেন। টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে আগে যেমন বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসতেন, এখন সেটি এমএফএসের মাধ্যমে হচ্ছে। এ ধরনের ১ থেকে ২শ অ্যাকাউন্ট প্রতিদিন বন্ধ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি ২০২২ সালে যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করি, তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট ছিল। সে সময় প্রথম পদক্ষেপ নিই ওভার ইনভয়েসিং বন্ধে। কারণ দেশ থেকে পকেটে করে ডলার পাচার খুব কম হয়। বড় ধরনের অর্থ পাচারের ঘটনাগুলো ওভার ইনভয়েসিংয়ে হয়ে থাকে। আবার রফতানি পণ্যের মুনাফা বিদেশে রেখেও অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটে। সেটি রোধেও উদ্যোগ নেয়া হয়।
এছাড়াও তিনি বলেন, দেশে বছরে মানি চেঞ্জারের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন। আর ব্যাংকিং চ্যানেলে হয় ২৭০ বিলিয়ন। কিন্তু ছোট একটি অংশের লেনদেন সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা যখন ডলারের রেট ২ টাকা বাড়িয়ে দেন, তখন অনেক প্রবাসীই রেমিট্যান্সের অর্থ ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়। এজন্য মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
কর্মশালার উদ্বোধনীতে সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস।
সরকারের আমলারা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মিলে ডলারের দাম নিয়ে যখন খেলায় মেতেছেন তখন প্রবাসী রা হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছেন। এটাই হলো বাস্তব।
সবচেয়ে বেশি টাকা বিকাশের এজেন্টের মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়। বিকাশের এজেন্ট গুলো বিদেশি কাস্টমারদের সাথে লেনদেনের মাধ্যমে দেশের টাকা পাচার করে। বিকাশের এজেন্টরা দেশে বসে প্রবাসীদের সাথে লেনদেন করে যাতে করে তারা বিদেশীরা বিদেশ থেকে টাকা না পাঠিয়ে দেশের একাউন্ট থেকে বিকাশ এজেন্টের একাউন্টে টাকা পাঠায়। এগুলো একটু দেখবেন।