দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

‘দেশে মার্চ মাসে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে’- নির্বাচনের আগে নিজের করা এমন মন্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্র আছে। আমি আসার পর থেকে বার বার আমাকে বাধা দেওয়া হয়। ক্ষমতায় যেন না যেতে পারি। ’৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার ঘটনাই ধরেন না কেন, রাসেলকেও তো ছাড়েনি। কেন? যেন ওই রক্তের কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে।’ জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’ নিয়ে শুক্রবার সকালে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনটা যাতে না হয়, তার জন্য একটা বিরাট চক্রান্ত ছিল, আপনারা জানেন। আপনারা ২৮ অক্টোবরের ঘটনাটা একবার চিন্তা করেন। ২০১৩ সালের যে অগ্নিসন্ত্রাস, ২০১৩, ১৪, ১৫, এরপর আবার গতবছর ২৮ অক্টোবর। যারা এই ধরনের নির্বাচন বানচালের পক্ষে, তারা যখন দেখল যে ইলেকশন কিছুতেই আটকাতে পারবে না, কারণ মানুষের একটা স্বতঃস্ফূর্ততা আছে, তখন চক্রান্ত হল যে জিনিসের দাম বাড়বে, সরকার জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, তখন আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করব। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ। কাদের সেটা আপনারা ভালো বোঝেন। আমি আর কারো নাম বলতে চাই না, বলার দরকারও নেই আমার। কিন্তু এই চক্রান্তটা আছে। তবে এই কথাটা আমি বলতে পারি, এই যে কালকে বৃষ্টি হল না? কথায় তো আছে, যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজা পুণ্য দেশ।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, সে কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক সময় তো বাংলাদেশে অভাব হলে বলত পেটে ভাত নাই। এখন কি সেই কথাটা বলে? বলে না। কী বলে? ডিমের দাম, পেঁয়াজের দাম, মুরগির দাম, গরুর মাংসের দাম, অথবা পাঙাস মাছের পেটি খেতে পারছেন, এই তো? এটা কি একটা পরিবর্তন না? ১৫ বছরে তো এই পরিবর্তনটা এসেছে, সেটাতো স্বীকার করবেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ বছর আগে কী ছিল? ভাতের জন্য হাহাকার ছিল। একটু নুন ভাত, ভাতের ফ্যান চাইত, এখন তো ভিক্ষা চায় না।’ এসময় উপস্থিত এক গণমাধ্যমকর্মীকে তিনি বলেন, আপনি নিজেই তো বললেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো। আপনার কি এটা মনে হয় না, এই যে যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে, এখানে তাদেরও কিছু কারসাজি আছে? শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে এরকম পেঁয়াজের খুব অভাব, দেখা গেল বস্তাকে বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলোকে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেয়া উচিত। কারণ সরকার করলে বলবে সরকার করছে। পাবলিক করলে কিছু বলতে পারবে না।