বাংলারজমিন
তিন দিবসের বাজার ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঝিনাইদহের ফুলচাষিরা
আমিনুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ থেকে
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার
দরজায় কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই ৩টি দিবসের বাজার ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের ফুলচাষিরা। দিবসগুলোতে দাম ভালো পেলে গত বছরে হরতাল অবরোধে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে কিছু লাভের মুখ দেখবে বলে বুক ভরা আশা নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে এলাকার ফুলচাষিরা। এদিকে ফুলের ভালো ফলন পেতে সবধরনের সহযোগিতা ও নানা পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে। জেলার সদর উপজেলার গান্না গ্রামের মাঠভর্তি বাগানে শোভা পাচ্ছে গাঁদা, গোলাপ, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা জাতের ফুল। রংবেরং এর এসব ফুলে মাঠগুলো সেজেছে যেন নতুন সাজে। সেই ফুলের বাগানে পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। ফুলের কড়ি ধরে রাখতে আর ফলন ভালো পেতে বাগানগুলোতে চলছে পরিচর্যা। কেউবা জমিতে সেচ দিচ্ছে, করছে আগাছা দমন আবার কেউ করছেন কীটনাশক স্প্রে। নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে রাতদিন ফুলের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে ফুলচাষিরা। ঋতুরাজ বসন্ত, ভালোবাসা দিবস আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলের চাহিদা থাকে খুব বেশি। সেই চাহিদা মিটিয়ে ভালো লাভের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করছেন কৃষকরা। দিবসগুলোকে ঘিরে সারা বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব মেলান তারা। ফুলচাষি সাধন কুমার জানান, বসন্ত, ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলের চাহিদা থাকে বেশি। তবে সঠিক সময়ে যদি ফুল তুলে বাজারজাত ধরতে পারি তাহলে এবার ভালো দাম পাবো বলে আমি আশা করছি। অপর ফুলচাষি বিধান বিশ্বাস জানান, হরতাল অবরোধে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে এ বছর লাভের মুখ দেখবো এমনটিই আশা করছি। পারভেজ জানান, আমি ফুলের বাগানে কাজ করি দির্ঘদিন ধরে। তবে এই ৩টি দিবস একই মাসে হওয়াই আমার ব্যস্ততা এতটাই রেড়েছে যে আমি কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথাই বলতে পারি না। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, ফলন ভালো পেতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের দেয়া প্রযুক্তিগত সহযোগিতার পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর রবি মৌসুমে জেলায় ৫৪ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে নানা জাতের ফুলের। এই ৩টি উৎসবে ফুল বিক্রি করে ফুলচাষিদের আয় হবে আড়াই থেকে ৩ কোটি টাকা।