শেষের পাতা
যৌথ উদ্যোগে সৌদি আরবে ইউরিয়া সার উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ- সালমান এফ রহমান
স্টাফ রিপোর্টার
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবারপায়রায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এ ছাড়া সৌদি আরবে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যৌথ উদ্যোগে একটি সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব সৌদি আরব গ্রহণ করেছেন। তারা গ্যাস ও অ্যামোনিয়ার সাপ্লাই দিতে চেয়েছে। গতকাল রাজধানীর বিডা ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সালমান এফ রহমান।
এর আগে ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশন পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সমন্বিত করণীয় বিষয়ে সদস্য দেশসমূহের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের রিয়াদে কাউন্সিলের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরব সফরের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, সভায় ৩২টি ইসলামিক দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে টেরোরিজমের বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, ইসলামের নাম ব্যবহার করে টেরোরিজম করা হয়। তাদের কোনো ধর্ম নেই। ইসলামের বদনাম করার জন্য তারা এই ধরনের কাজ করে থাকে। তিনি বলেন, টেরোরিজমের বিষয়ে সবার যে সহযোগিতা আছে, সেটিকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া প্যালেস্টাইন ও গাজা সমস্যার সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, গত মার্চে বাংলাদেশ-সৌদি যৌথ উদ্যোগে সৌদি আরবে একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এখানে দুই দেশের সরকার কিংবা বেসরকারি খাতও থাকতে পারে। সৌদি আরব গ্যাস দিবে। এখানে উৎপাদিত শতভাগ সার আমরাই কিনে নিয়ে আসবো। এমন প্রস্তাব দেয়ার পর তারা এটি নিয়ে কাজ করছিলেন। উনারা নিশ্চিত করেছেন যে এই প্রস্তাবটা তারা গ্রহণ করেছেন। তারা এটি নিয়ে আগাতে চান। ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা দুটি পথের কথা বলেছে। তারা অ্যামোনিয়া দেয়ার কথা বলেছে। অ্যামোনিয়া আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে ইউরিয়া তৈরি করা যায়। তাহলে তো গ্যাস লাগছে না। তবে তারা এটাও বলেছে যে প্রয়োজনে গ্যাসও দিতে পারবে। মার্চ মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শেষ হবে বলেও তারা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরবকে পায়রা পোর্টে বিনিয়োগ করতে বলেছি। এ ছাড়া তারা পায়রায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতেও আগ্রহী। ফুড প্রসেসিং নিয়েও তারা কাজ করতে চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ডলার সংকটের কারণে গ্যাসের সমস্যা ছিল। শুধু ডলার সংকটই নয়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্যাসের দামও বেড়ে যায়। তবে এখন তেলের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। এজন্য গ্যাসের দামও কমছে। তিনি বলেন, আমাদের গ্যাসের পাইপলাইনের ডিজাইনে সমস্যা রয়েছে। এখন মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী পাইপলাইনের কাজ করা হচ্ছে।
গ্যাসের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর পরেও দক্ষিণ এশিয়ায় সব থেকে বাংলাদেশে গ্যাসের দাম কম। সরকারকে গ্যাসে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।