বাংলারজমিন
রূপসায় স্কুলছাত্রী মিম হত্যা : আদালতে দুই আসামির জবানবন্দি, পরিকল্পনাকারীর নাম প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৭ জুন ২০২২, সোমবারখুলনার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ীর চর গ্রামের স্কুলছাত্রী মিম খাতুনকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। একটি মহল সাধারণ লোককে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মাদকাসক্ত এবং জুয়া খেলার কারণে এলাকার যুবকদের মাঝে অপহরণ, হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘৃণিত অপরাধের সূত্রপাত হচ্ছে। তাছাড়া একটি মহল ভাসমান পতিতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সচেতন মহল উদ্যোগ নিলে এসকল ঘৃণিত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে উঠতি বয়সী কিশোর ও যুবকদের অপরাধ জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত ২ আসামি মিম খাতুনকে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আসামি প্রেমিক হোসাইন এবং রবিউল ইসলাম শেখ আদালতকে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি প্রদান করেছে। পুলিশ জানায়, গত ২২শে জুন সন্ধ্যায় বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল কবিরের আদালতে পুলিশের হাতে আটক আসামিরা এ জবানবন্দি প্রদান করেছে। তারা জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সত্যতার কথা স্বীকার করেছে এবং ঘটনার মূল নায়কের নামও তারা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো আসামিরা মুখ খুলছে না।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, মামলার অন্যতম আসামি রফিক মোল্লাকে ঘটনার পর পুলিশ আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে রফিক মোল্লা এবং কাইয়ুম শেখের কতোটা সম্পৃক্ততা আছে তার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য উক্ত আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরদার মোশারফ হোসেন জানান, ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করা হলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এজাহারভুক্ত ৩ আসামিসহ পুলিশের তদন্তে আসা অন্যতম আসামি রফিক মোল্লাকেও আটক করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত ১৮ই জুন সন্ধ্যায় গোয়ালবাড়ির চর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ওরফে মন্টু ফকিরের কন্যা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ ফকিরের পত্নী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর বিশ্বাসের নাতনী, আনন্দনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মিম আক্তারকে দুষ্কৃতকারীরা পাশবিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে মাত্র ৩শ’ গজ দূরে একটি জঙ্গলের গর্তে ফেলে রাখে। পুলিশ ২০শে জুন লাশ উদ্ধার করে।