শেষের পাতা
‘ভোট দিতে যাসনি কেন’ বলেই বৃদ্ধের হাত-পা ভেঙে দিলো
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
১০ জানুয়ারি ২০২৪, বুধবাররাজশাহীর মোহনপুরে গত রোববার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না যাওয়ায় ২ জনকে লোহার পাইপ ও লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আহত ২ জন বর্তমানে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ‘ভোট দিতে যাসনি কেন?’- এমন প্রশ্ন করেই নবনির্বাচিত এমপি গ্রুপের সমর্থকরা তাদের পিটিয়েছে। ভুক্তভোগীরা হলেন, উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া এলাকার তাহের আলীর ছেলে আফসার আলী সরদার (৬০) ও তার ভোট ভাই সাহেব আলী (৪২)। অভিযুক্তরা হলো- একই এলাকার দুলাল, জালাল, আখিরুল ও শামীম। তারা রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের নবনির্বাচিত এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ গ্রুপের অনুসারী।
স্থানীয়রা জানান, ভোটের দিন রোববার বিকালে নিজ গ্রামে এন্তাজের চা স্টলে যান আফসার আলী। এ সময় গ্রামের দুলাল, জালাল, আখিরুল ও শামীমসহ আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মী সেখানে গিয়ে আফসারকে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুই ভোট দিতে যাসনি কেন?’ উত্তরে আফসার বলেন, ‘আমার ভালো লাগেনি, তাই যাইনি।’ তার এমন উত্তরে ক্ষিপ্ত হয়ে রড, লোহার পাইপ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
স্থানীয়রা আরও জানান, আফসারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুলালবাহিনী। কিছুক্ষণ পর তার ছোট ভাই সাহেব আলী তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও পেটায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এতে দু’জনের হাত-পা ভেঙে যায়। তারা রক্তাক্ত হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ কর্মীদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি কাউকে এ ধরনের কোনোকিছুর নির্দেশনা কোনোদিন দেইনি, আগামীতেও দেবো না। এ ধরনের কাজ যদি কেউ করে থাকে, তাহলে তার দায় তাকেই নিতে হবে। ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিলে আমি তাদের সহযোগিতা করবো। মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, এখানো থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জারজ সন্তান না হলে এরকম কাজ করতে পারেনা
এই হিংস্র হায়েনারা দেশটাকে জঙ্গল বানিয়েছে।
BNP এইসকল অমানবিক কার্যক্রম নিয়ে কখনো জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেনা। এই বিষয়গুলি নিয়ে বিশাল আকারে প্রতিবাদ করলে দেশি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়, এছাড়া সাধারণ মানুষ ও আস্থা খুঁজে পায়। অথচ তারা আছে শুধু তাদের নেতা/নেত্রীর মুক্তি নিয়ে আন্দোলন করতে। তাইতো জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়না