অনলাইন
মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সকল পথ এখন বন্ধ: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২৫ জুন ২০২২, শনিবার, ৪:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০৮ অপরাহ্ন
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সকল পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার জাতিসংঘ ঘোষিত নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে আমি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের নির্যাতিত ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা। যুগে যুগে মানুষ বিভিন্ন রাষ্ট্রের স্বৈরশাসক ও নিষ্ঠুর একনায়ক এবং একদলীয় শাসনের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এখনো বিশ্বব্যাপী কোনো না কোনো অঞ্চলে ভাষা, বর্ণ, জাতি ও সম্প্রদায় নিয়ে সংঘাত চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুদের ওপর চালাচ্ছে নির্যাতন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক ভিন্ন মতের ওপর অসহিষ্ণু শাসকরা চালাচ্ছে নির্দয় অত্যাচার। বাংলাদেশে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের ওপর এখন ফ্যাসিবাদী জুলুম চালাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাই হচ্ছে শাসকগোষ্ঠীর প্রধান অস্ত্র। বিভিন্ন অভিযানের নামে সারাদেশে বেআইনি হত্যার হিড়িক পড়ে গেছে। আর এই সমস্ত অভিযানে বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষেদেরও বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে। দেশে মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সকল পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, যেহেতু জনগণের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই, সেহেতু গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠানকে হাতের মুঠোয় নিয়ে একদলীয় অপশাসনের জগদ্দল পাথর জনগণের বুকের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
‘বাংলাদেশে আমরা এখন এক গভীর ত্রাসের মধ্যে বাস করছি। বিএনপি নেতাকর্মীসহ ভিন্ন মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে গুম, মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের হিড়িক থেমে থাকছে না, বরং সরকারের জুলুমের গতি পূর্বের মতোই চলমান আছে। জাতির সকল অর্জন ও এগিয়ে যাওয়া এখন অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসেছে। জুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রের ওপর সর্বোচ্চ আঘাত হানা হচ্ছে। এই নৈরাজ্যের অমানিশা আমাদের দূরীভূত করতেই হবে,’ বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট মামলায় প্রতিহিংসামূলক সাজা দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। দেশনেত্রী ভীষণ অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও সরকার তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। সুচিকিৎসার অভাবে তার জীবনকে সংকটাপন্ন করে তোলা হয়েছে। আমি আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।