বাংলারজমিন
মৌলভীবাজারে খাদ্য গুদামে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার
জেলার কুশিয়ারা, মনু ও ধলাই নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে হাকালুকি হাওরের পানি। পানি বৃদ্ধি পেলে বা কমলেও বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ কেবল বাড়ছেই। জেলার হাকালুকি হাওর তীরবর্তী বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার বন্যাদুর্গতরা অবর্ণীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বন্যায় ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়া মানুষরা নানা সংকটে পড়েছেন। বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাদ্য ও স্যানিটেশন সমস্যায় ভুগছেন। তবে গতকাল থেকে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো তাদের সাধ্যানুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ওই সব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে বেশির ভাগই শুকনো খাবার। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার পানি কিছুটা কমলেও হাওর তীরবর্তী এলাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গতকাল মৌলভীবাজারে কুশিয়ারারা, মনু ও ধলাই নদীর পানি কিছুটা কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের। মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশুগুলো নিয়েও চরম বিপাকে রয়েছে বানভাসিরা। এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরের খাদ্য গুদামে পানি প্রবেশ করায় টিসিবির মজুত রাখা ডাল, চিনি ও তেল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। মৌলভীবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জ্যোতি বিকাশ ত্রিপুরা জানান, শেরপুরে তাদের দুটি খাদ্য গুদাম রয়েছে সেগুলো টিসিবি ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ইসমাইল মজুমদার জানান, ওই গুদামে ৫৬৬ টন ডাল, ৩২০ টন চিনি ও ৬৫ হাজার লিটার তেল মজুত ছিল। দুইদিন থেকে গুদাম থেকে এসব পণ্য বের করে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। বন্যার পানি উঠায় গুদামে রাখা ডাল ও চিনির সব নিচের একটি স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি। অপরদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামরকোনা এলাকায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুশিয়ারা, ফানাই, কন্টিনালা ও জুড়ী নদী দিয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যায় জেলায় ৫ শতাধিক গ্রামের ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।