বাংলারজমিন
কাউনিয়ায় নদীগর্ভে বাড়িঘর
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
২৩ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবারতিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় বিলীন হচ্ছে আবাদি জমিসহ বসতবাড়ি। এরইমধ্যে বিলীন হয়েছে চারটি বাড়ি। ভাঙনের হুমকির মুখে আছে আরও প্রায় ১৪টি বাড়ি। নদী ভাঙনের খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকালে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাহমিনা তারিন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে গতকাল সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮ দশমিক ৯৫ সে.মি পানি থাকলেও বেলা ১২টায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ দশমিক ০ সে.মি দেখা গেছে।
গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী হরিচরণশর্মা, আজম খাঁ, হয়বৎ খাঁ, বিশ্বনাথ, চরগনাইসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে করে চরাঞ্চলের বাদাম চাষিরা তাদের উৎপাদিত বাদাম সময়ের আগেই জমি থেকে উত্তোলন করে ঘরে তুলেছেন। হাসেন আলী, ছলিম উদ্দিনের বাড়িসহ প্রায় ১৪টি বাড়ির পেছনে নদী আসায় অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। আর ভাঙন প্রতিরোধে ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। হাসেন আলী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘তিস্তার ভাঙনের কারণে তার ঘর ভেঙে অন্যত্রে নিয়ে যাওয়ার পরে রাতেই ওই জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী কিছু এলাকা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির স্রোতে কয়েকটি বাড়ি এবং কয়েকশ’ বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এরইমধ্যে নদী ভাঙন প্রতিরোধে এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নদীতে কিছু গাছ ফেলে প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে এই বাড়িগুলোসহ আবাদি জমি যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। নদী ভাঙনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাহমিনা তারিন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।