ঢাকা, ১৬ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

রপ্তানির ১২ বিলিয়ন ডলার দেশে ফেরেনি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
mzamin

সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি বা প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফেরেনি। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা ২৫ পয়সা ধরে যার পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাবদ ৩ কোটি ডলার কম এসেছে। যদিও রপ্তানি বেড়েছিল ৩৪৮ কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানির পরিসংখ্যান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় দেশে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার মানে ওই অর্থবছরের রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক থেকে আসে।

বিজ্ঞাপন
ইপিবি’র হিসাবে, গত অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৯৫ কোটি ডলার দেশে এসেছে। তার মানে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির ১ হাজার ৪ কোটি ডলার গত জুন পর্যন্ত দেশে আসেনি। একইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯১ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হলেও দেশে এসেছে ৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ১২২ কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে দেশে ফিরেছে ১৩১ কোটি ডলার। আবার ১১০ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হলেও দেশে এসেছে ৭৩ কোটি ডলার।

ইপিবি’র তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে ৭৪৯ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৭৪০ কোটি ডলার দেশে এসেছে। অর্থাৎ সেবা খাতের রপ্তানির ৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আমরা আগেও বলেছি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি’র হিসাবের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানির অর্থ যতটুকু আসে, বাংলাদেশ ব্যাংক ততটুকু হিসাব করে। অন্যদিকে ইপিবি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), শর্ট শিপমেন্ট, ডিসকাউন্টসহ বিভিন্ন হিসাব যুক্ত করে পরিসংখ্যান দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি’র পরিসংখ্যানের পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি কাজ করছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, পণ্য রপ্তানি আয় অনেক ক্ষেত্রে পরেও আসে। পুনরায় রপ্তানির মতো ঘটনাও ঘটে।

নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা বেশ কয়েক মাস ধরে বলে আসছি, ইপিবি’র পণ্য রপ্তানির পরিসংখ্যান নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। অন্যদিকে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককেও অনেক দিন ধরে বলছি, ১২০ দিনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারা রপ্তানি আয় আনছে না তা প্রকাশ করতে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের কোনো তথ্য দেয়নি। ফলে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১০ বিলিয়ন ডলার কেন এল না সেটি ব্যাখ্যা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

পাঠকের মতামত

এই টাকাগুলো যারা পাচার করেছে তাদের ফ্যাক্টরীর নাম মালিক ও পরিচালকদের নামসহ সংবাদ প্রকাশ করা হোক।

বোকা
১২ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৭:১৭ অপরাহ্ন

এটি মূলত ইপিবির দেয়া রফতানির হিসাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রাখা রফতানির পার্থক্য। আমি ধারনা করি ইপিবি সরকারের রফতানি সাফল্য দেখানোর জন্য বানোয়াট রফতানির পরিমাণ এবং আয় দেখিয়েছে। পোশাক মালিকরা যখন অর্ডার এবং রফতানি কমে যাবার জন্য হাহাকার করছিলেন তখনো ইপিবি বাংলাদেশের পোষাক রফতানির প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে আসছিল। অনেক পোষাক রফতানিকারক কয়েকমাস আগেও ইপিবির এই হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো।‌ যদি এই ১২ বিলিয়ন ডলার রফতানি করার পরও না এসে থাকে তাহলে কারখানাগুলো ব্যাক টু ব্যাক পেয়েমেন্ট করলো কীভাবে ? প্রকৃতপক্ষেই বাংলাদেশ কি পরিমান রফতানি করে সে প্রশ্নটি এখন সামনে আসবে।‌

Andalib
১২ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৩:৪৫ পূর্বাহ্ন

ধরে নিলাম এই রহস্যের ভেদ কক্ষনো বের হবে না। তাই এই কারণে জামাত-বি এন পির বিচার করা হোক। কারণ ? যত দোষ ,......

parvez
১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৬:১৭ অপরাহ্ন

যে সব রপ্তানিকারক বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনেন নি তারা পাচার করেছেন ডলার ও তা দিয়ে বিদেশে সম্পদ কিনেছেন। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হউক।। তাদের কাচামাল আমদানির জন্য এলসি বন্ধ করুন। বিলিয়ন ডলার ! এরাই পাচার কারি ।

Kazi
১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৬:০৮ অপরাহ্ন

মজার মজার ঘটনা আসছে সামনে।

শাজিদ
১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৪:৪৪ অপরাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status