ঢাকা, ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

যে কারণে বাতিল মোকাব্বির খান এমপি’র মনোনয়ন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার

নির্বাহী সভাপতি দাবি করে নিজের স্বাক্ষরে দলীয় মনোনয়ন জমা দেয়ায় বাতিল হয়েছে সিলেট-২ আসনের এমপি মোকাব্বির  খানের মনোনয়নপত্র। এ সময় তিনি সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে তার দেয়া যুক্তি গ্রহণ করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক  শেখ রাসেল হাসান। পরে মোকাব্বির খান আপিল করার ঘোষণা দিয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনের বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে গণফোরামের সূর্য মার্কায় নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। এবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে এ আসন থেকে গণফোরামের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। বাছাইয়ে দেখা যায়- তিনি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে দাবি করেছেন। এর প্রমাণস্বরূপ যে কাগজ জমা দেয়া হয়েছে সেটি দলের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে তার নিজের স্বাক্ষর করা। দলের কাউন্সিলের নির্বাচিত সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা দলীয় মনোনয়ন না থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়পত্র বাতিল করে দেন। এ সময় উপস্থিত থাকা মোকাব্বির খান জানান, তিনি গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি। 

এ কারণে আর কারও স্বাক্ষর প্রয়োজন নেই। তার স্বাক্ষর করা দলীয় মনোনয়নপত্রই বৈধ মনোনয়ন। জেলা প্রশাসক তার এই যুক্তি গ্রহণ না করে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। শুনানির পর মোকাব্বির খান এমপি সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন। তিনি যেহেতু দলের নির্বাহী সভাপতি তাই অন্য কারও স্বাক্ষরের প্রয়োজন এখানে নেই। এ কথা বলে তিনি বেরিয়ে যান। পরে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন। বলেন, তিনি দলীয় মনোনয়ন সংক্রান্ত কোনো লিখিত তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। যদি তিনি আপিল করেন, তাহলে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন সেটি দেখবে বলে জানান তিনি। এদিকে, সিলেটের ৬টি আসনে ৪৭ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়ন বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ১২ জন এবং ৫ জনের মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- সিলেট-১ আসনে একজন, সিলেট-২ আসনে সর্বাধিক ৭ জন ও স্থগিত ২ জনের, সিলেট-৩ আসনে ৪ জনের বাতিল, সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ আসনে একজন করে প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। সিলেট-১ আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আব্দুল বাসিতের  মনোনয়ন ঋণ খলাপির কারণে বাতিল করা হয়।

 এ ছাড়া রিটার্ন জমা না দেয়ায় ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হকের মনোনয়ন প্রথমে স্থগিত করা হলেও পরে আয়কর রিটার্নের কপি জমা দিলে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। সিলেট-২ আসন থেকে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৭ জনের বাতিল, ২ জনের স্থগিত এবং ৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানসহ ৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র ইকবাল হোসেন,  তৃণমূল বিএনপি’র মোহাম্মদ আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির, স্বতন্ত্র মুশাহিদ আলী ও  কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবুল কালাম আজাদ। 

এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া চৌধুরীর আয়কর সনদ না থাকায় মনোনয়ন স্থগিত করা হলেও পরে আয়কর সনদ দাখিল করলে মনোনোয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী  বিএমএ’র কেন্দ্রীয় মহসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের এক শতাংশ ভোটে অসামঞ্জস্য থাকায় মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ ছাড়া স্বতন্ত্র কফিল উদ্দিন ও ইসলামী ঐক্যজোটের মইনুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এ ছাড়া এ আসনের স্বতন্ত্র ফখরুল ইসলাম এক শতাংশ ভোটারের তালিকা দাখিল করেন, তা সঠিক না পাওয়ায় এবং সমর্থন ও প্রস্তাবকারী একই ব্যক্তি হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়। সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপি’র আবুল হোসেন ব্যাংক ঋণের জামিনদার থাকায় মনোনয়ন স্থগিত করা হয়।

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status