বিশ্বজমিন
গাজার বিষয়ে ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করলেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবজমিন ডেস্ক
২৬ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার
ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা ছাড়া পরিস্থিতি শান্ত থাকবে না বলে ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। গাজায় বেসামরিক লোকজন হত্যার বিষয়েও তিনি সতর্কতা দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি বিবিসিকে দেয়া প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারে শুক্রবার যুদ্ধবিরতি, বন্দিবিনিময় এবং মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। বলেন, গাজায় যে পরিমাণ সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন তার সংখ্যা অনেক বেশি। এ বিষয়ে ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইন মেনে চলতে হবে। দখলীকৃত পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনকারীরা যে সহিংসতা চালাচ্ছে তাকে তিনি পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন।
ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ইসরাইলকে এটা অনুধাবন করা গুরুত্বপূর্ণ যে, তাদেরকে এমন একটি পন্থা অবলম্বন করতে হবে যা দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। তিনি আরও বলেন, এই দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নির্ভর করে ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণভাবে, স্থিতিশীলভাবে এবং তাদের ভূমিতে সুরক্ষিতভাবে বসবাসের ওপর। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি ভবিষ্যতে কর্মপরিকল্পনায় আরব দেশগুলোকে যুক্ত করার আহ্বান জানান। ডেভিড ক্যামেরন পশ্চিমতীরের রামাল্লাহ সফরের দিনেই এই সাক্ষাৎকার দেন। রামাল্লায় তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন জাতিসংঘ ও গাজায় অন্য এজেন্সিগুলোর কাছে মানবিক সহায়তা হিসেবে আরও তিন কোটি পাউন্ড দেবে বৃটেন। এর মধ্যে থাকবে বিশেষত আশ্রয়, কম্বল, খাদ্য ও ওষুধ। এ সময় তিনি এ কথাও উল্লেখ করেন যে, ইসরাইলেরও আত্মরক্ষার অধিকার আছে। ৭ই অক্টোবর যা ঘটেছে তা পুরোপুরি ভয়ঙ্কর। ডেভিড ক্যামেরন বলেন, যখন আমি ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগ, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি, তাদেরকে বার বার বলেছি যে, অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলতে হবে। নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। এ বিষয়টি সর্বাগ্রে তাদের মনে রাখতে হবে।
এ বিষয়ে ইসরাইলের সঙ্গে অব্যাহত আলোচনা চালিয়ে যাবেন বলে জানান ডেভিড ক্যামেরন। পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনকারীরা যে সহিংসতা করছে সে বিষয়ও উত্থাপন করবেন। ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষদের বাস্তবেই টার্গেট করছে এবং কখনো কখনো তাদেরকে হত্যা করছে বসতি স্থাপনকারীরা। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এর জন্য যারা দায়ী, তাদেরকে গ্রেপ্তার না করা কোনো ভালো খবর নয়। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচার করা উচিত। জেলে পাঠানো উচিত। তারা যা করছে তা অপরাধ।