বাংলারজমিন
খুলনায় গৃহবধূ শামীমা হত্যার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে:
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবারগত জুলাই মাসের ৪ তারিখ থেকে টানা প্রায় ৩ মাস শামীমা হত্যাকাণ্ডের কোনো আসামিদের খুঁজে পাচ্ছিল না হরিণটানা থানা পুলিশ। নির্জন কাশবনে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে গিয়েছিল হত্যাকারীরা। থানা সূত্রে জানা যায়, হরিণটানা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহরিয়ার হাসানের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২১শে সেপ্টেম্বর বিকালে আড়ংঘাটা থানাধীন শলুয়া বাজার এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর শামীমা হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি স্বামী কয়রা উপজেলার ২নং কয়রা (সানাবাড়ী) গ্রামের মো. আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে মো. সাইদুর রহমান (২১)কে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারক্তি মোতাবেক শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায়ের মহল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার বন্ধু রায়ের মহল মন্দিরের মোড় এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে মো. সোহাগ মোল্লা (২০) এবং রায়ের মহল পশ্চিমপাড়ার মো. মকিতুর রহমানের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম তপু (২৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি মো. সাইদুর রহমান হত্যার দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পারিবারিক অশান্তির জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় স্বামী সাইদুর রহমান। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সঙ্গে নেয় বন্ধু সোহাগ মোল্লা ও শরিফুল ইসলাম তপুকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাসা থেকে স্ত্রীকে বের করে নির্জন (কাশবন) স্থানে নিয়ে তিনজনে মিলে প্রথমে স্ত্রী শামীমাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে লাশ গোপন করতে কাশবনের মধ্যে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা খুলনা মহানগরীর হরিণটানা থানার রায়ের মহল আন্দিরঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঘটেছে। গত ৪ঠা জুলাই এ ঘটনার পর লাশ উদ্ধার হলেও আসামিরা পলাতক ছিল। দুইদিনের অভিযান শেষে হরিণটানা থানা পুলিশ শুক্রবার স্বামী সাইদুরসহ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে আসামি সাইদুর রহমান হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত বলেছেন, এ ঘটনায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার এবং স্বামী সাইদুর রহমানের স্বীকারোক্তির মধ্যদিয়ে চাঞ্চল্যকর শামীমা হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকেও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।