শেষের পাতা
জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হওয়া কাম্য না: সিইসি
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হওয়া কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এমন মন্তব্য করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি তাদেরই দেখতে হয়। তাই কোনোভাবেই ইসি চাইবে না, কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাত প্রতিফলিত হোক।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে ইসি কাজ শুরু করেছে কিনা? বিরোধী দলগুলো বলছে, ভোটের পরিবেশ নেই, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, খুব জটিল প্রশ্ন। এই মুহূর্তে উত্তর দেয়া যাবে না। তবে নিশ্চয়ই আমরা ভোটের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবো। এটাকে বলে প্রক্ষেপণ। নির্বাচন তিন মাস, চার মাস, ছয় মাস পরে হবে। কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণ ও প্রক্ষেপণ অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে।
জামালপুরের ডিসির প্রত্যাহার আইওয়াশ বলে বিরোধী দল মনে করছে। সিইসি বলেন, এর উত্তর দেব না।
ইসি তার রোডম্যাপে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা। এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।
তফসিলের আগেও নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে ইসি’র কিছু করার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে যখন প্রধানমন্ত্রী সফরে বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে যাচ্ছেন, সরকারি কাজে যাওয়ার পরও যখন ভোট চাইছেন, সেখানে কমিশনের কী কথা বলার এখতিয়ার আছে? হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এ প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে চট করে দিতে পারবো না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। বিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে। সবাই কথা বলছে নিজেদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাদের ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না, তাহলে নিশ্চয়ই ইসি হস্তক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু এখন সবাই ভোট চাইছে। তাই এই বিষয় আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখিনি।
নতুন করে সুধীজনদের সঙ্গে যে সংলাপ হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে কিনা এবং সংলাপের অর্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা আমাদের দায়িত্ব। যেমন আমার ওপরও একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। যারা বিশিষ্টজন তারা কী বলতে চান। দায়িত্বটা শুধু আমাদের না। সরকার, রাজনৈতিক দল, ভোটার সবার যে দায়িত্ব রয়েছে। এমন সংলাপের মাধ্যমে কিছুটা হলেও প্রত্যেকের ওপর একটা দায়িত্ববোধ বা একটা চাপ সৃষ্টি হতে পারে।