বাংলারজমিন
শাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন
প্রশাসনের ‘অমানবিক সিদ্ধান্ত’ বাতিলের দাবি শিক্ষার্থীদের
শাবি প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
সহপাঠী অসুস্থ থাকায় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় একটি কোর্সে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় না বসায় ওই কোর্সে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত দেখিয়ে পরবর্তী ব্যাচের সঙ্গে কোর্স তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তকে ‘অমানবিক সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত বাতিল করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি খুব দ্রুত ওই কোর্সের পরীক্ষা নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
গতকাল সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ‘বি’ এর সম্মুখে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন পালন করে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় এ পরিচালক বলেন, এটা একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত। তোমাদের আশ্বাস দিতে পারবো না যে, তোমরা উঠে পড়ো, তোমাদের দাবি মেনে নেয়া হবে। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান শিক্ষার্থীদের। ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেস ব্রিফিং করেন জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি। প্রেস ব্রিফিংয়ে মুন্নি বলেন, গত ১৬ই জুলাই বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর প্রথম সেমিস্টারের ‘গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র’ শিরোনামের ৩ ক্রেডিটের একটি কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে সেসময় আমাদের এক সহপাঠী দীর্ঘদিন ধরে জ্বর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। ‘গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র’ কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষার দু’-একদিন আগে পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করেছি। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আমরা বিভাগীয় প্রধানকে মৌখিকভাবে পরীক্ষাটি পেছানোর অনুরোধ করি। তখন বিভাগের শিক্ষকরা মিটিং করে জানান পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। শিক্ষকরা চাইলেই বিভাগের শিক্ষার্থীর শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ওই কোর্সের পরীক্ষাটি পেছাতে পারতেন। আমাদের বলা হয়েছিল, একজন শিক্ষার্থীও যদি ১৬ই জুলাইয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাহলে বাকিরা কোর্স থেকে ড্রপ আউট হবে। আমরা আমাদের সহপাঠীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে কেউই পরীক্ষায় অংশ নেইনি। এরইমধ্যে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উল্লেখিত কোর্সে আমাদের অনুপস্থিত দেখিয়ে পরবর্তী ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছি না। ইতিমধ্যে গত রোববার থেকে সমস্ত ক্লাস বর্জন করেছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির পদক্ষেপ নেবো।