বিশ্বজমিন
৬ দিন রাশিয়ায় কাটিয়ে দেশে ফিরলেন কিম, উপহার পেলেন ড্রোন, ভেস্ট
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৫:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:২৮ অপরাহ্ন
রাশিয়ায় এক দীর্ঘ সফর শেষে অবশেষে দেশে ফিরেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান কিম জং উন। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাশিয়া সফর শুরু করেন তিনি। এরপর টানা ছয় দিন অবস্থান করেন মিত্র দেশটিতে। ফেরার সময় রাশিয়ার স্থানীয় গভর্নরের কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন বেশ কিছু উপহারও। এরমধ্যে রয়েছে পাঁচটি বিস্ফোরক ড্রোন, একটি গোয়েন্দা ড্রোন এবং একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়, গত শনিবার ভ্লাদিভস্তক শহরে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগুর সঙ্গে বৈঠক করেন কিম। সেখানে তিনি রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারের কিছু অংশ ঘুরে দেখার সুযোগ পান। রাশিয়ার হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেম নিয়ে আলাদা আগ্রহ রয়েছে কিম জং উনের। তার দেশও মিসাইল প্রযুক্তিতে বিশ্বে প্রথম দিকেই রয়েছে।
বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, কিম জং উন রাশিয়ার এক গভর্নরের কাছ থেকে পাঁচটি কামিকাজি ড্রোন ও একটি গেরান-২৫ গোয়েন্দা ড্রোন উপহার পেয়েছেন। এই ড্রোনের ওপরে উত্তর কোরিয়ার পতাকাও যুক্ত ছিল। এছাড়া রাশিয়ার প্রিমোরি অঞ্চলের গভর্নর কিম জং উনকে একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট ও থার্মাল ক্যামেরায় অদৃশ্য হওয়ার একটি বিশেষ পোশাক উপহার দিয়েছেন।
রোববার কিম তার রাশিয়া সফর শেষ করেন। আর্তিয়োম শহর থেকে তিনি তার ট্রেনে উঠে বসেন। তার ট্রেন ছাড়ার পূর্বে কোরিয়া ও রাশিয়া উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। কিম মোট ছয় দিন রাশিয়ায় ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। গত বুধবার ভস্তোচনি মহাকাশ বন্দরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক বিশ্বজুড়ে প্রধান খবর ছিল।
পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা করেছিল যে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি করবে রাশিয়া। কিন্তু কিমের সাম্প্রতিক এই সফরে এ জাতীয় কোনো ইস্যু আলোচিত হয়নি। ক্রেমলিন জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ কিমের এই সফর সম্পর্কে বলেছে, বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির নতুন যুগের সূচনা হলো। পুতিন ও কিম জং উন একে অপরকে ‘কমরেড’ বা সহযোদ্ধা বলে সম্বোধন করেছেন। ফলে সাবেক সোভিয়ে ইউনিয়ন ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে যে ধরণের সম্পর্ক ছিল, পুতিন ও কিমের মধ্যেও তেমন ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।