বিনোদন
ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস নিয়ে তোলপাড়
স্টাফ রিপোর্টার
৩১ মে ২০২৩, বুধবার
সোমবার দিবাগত রাতে চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে নায়িকা সুনেরাহ বিনতে কামালের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। আর এসব ভিডিও দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল সারাদিনই এমন ঘটনায় তোলপাড় ছিল শোবিজ অঙ্গন। সুনেরাহ ছাড়াও অভিনেত্রী তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষিকেও দেখা যায় এসব ভিডিওতে। যদিও এসব ঘটনার জন্য পরীমনিকে আকারে-ইঙ্গিতে দোষারোপ করেছেন সুনেরাহ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরীমনি। এ প্রসঙ্গে নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সুনেরাহ।
সেখানে লিখেছেন, আপনারা যে ভিডিওগুলো দেখেছেন, সেগুলো পাঁচ বছর আগের ‘ন ডরাই’- সিনেমার সময়ের। তখন আমরা মজা করে এভাবে কথা বলার প্র্যাকটিস করতাম। কারণ, আমাদের সিনেমার প্রয়োজনে এভাবে গালি দিতে হয়েছে। একবার শুটিংয়ে মার খেয়ে পড়েছিলাম, উঠে দাঁড়াতেও পারছিলাম না।
আমি নিশ্চিত, রাজের আইডি হ্যাক্ড হয়েছে। আর কে হ্যাক করেছে, আমরা সবাই সেটা জানি। প্রকাশ্যে হইচই করতে কোনো কারণ লাগে না যার সেই করেছে। এসব ভিডিও ছড়ালে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথাও জানান তিনি। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পরীমনি মানবজমিনকে বলেন, রাজের আইডি থেকে কে পোস্ট করেছে সেটা আমি কীভাবে জানবো? এটা তার (রাজ) ব্যক্তিগত বিষয়। আমার নাম উল্লেখ না করে কে কী বলেছে তা জানা নেই আমার।
এ প্রসঙ্গে রাজ মানবজমিনকে বলেন, এগুলো কীভাবে কি হচ্ছে আমি জানি না। আমার ফেসবুক আইডি থেকে এমন কিছু আপলোড করিনি। আইডি হ্যাক হয়েছে কিনা তা জানি না। জানা গেছে, এসব ভিডিও-ছবি ছড়িয়ে পড়ায় সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দ্বারস্থ হয়েছেন শরিফুল রাজ। এদিকে ভিডিও ফাঁসের বিষয়ে কথা বলতে নারাজ আরেক অভিনেত্রী নাফিজা তুষি। তিনি মানবজমিনকে বলেন, রাজের বিয়ের পর থেকে তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি এসব বিষয়ে কথা বলতে চাই না। সবার ব্যক্তিগত জীবন আছে। যারা বাজে চিন্তার মানুষ তারাই এমন কাজ করতে পারে। এ বিষয়ে সুনেরাহ মানবজমিনকে বলেন, রাজ আমার বন্ধু। আমার ভাইয়ের মতো। পরী এই নোংরা কাজটা করেছে। এর জন্য আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তবে অনেক চেষ্টা করেও তানজিন তিশার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত
এত চিন্তা বা হতাশাগ্রস্থ হলে কি হবে ? বর্তমান কালের বিয়ে especially ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বিবাহ মানে বিচ্ছেদ। হয়তো আজ বা কাল ? যখন কাবিন হয় সাথে সাথে লেখা উচিত ঝামেলা ছাড়া বিচ্ছেদ হবে। এক বেডে শুইয়ে মানসিক রোগী না হয়ে বিভিন্ন বেডে রাত্রি যাপন করা মানসিক ভাব রোগ মুক্ত হওয়া। বিচ্ছেদই হোক ওদের জীবনের চরম চাওয়া পাওয়া।