কলকাতা কথকতা
ইলিশ খাবেন বেশ ভাবনা-চিন্তা করে, কিন্তু কেন?
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১ বছর আগে) ২৯ মে ২০২৩, সোমবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

ইলিশ পাতুরি, সর্ষে ইলিশ ভাপা কিংবা সর্ষে কালোজিরে আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে ইলিশের কাঁচা ঝোল খেতে ভালোবাসে না এমন বাঙালি বোধহয় দুই বাংলা খুঁজেও মিলবে না। ইলিশ আবার বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। পদ্মা-মেঘনার ইলিশ যে মুখে দিয়েছে তার তো স্বর্গলাভ! এপার বাংলায় গঙ্গার ইলিশও সেইরকম। এই ইলিশ সম্পর্কে সতর্কবার্তা জারি করলো ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। তারা ১২০টি সামুদ্রিক মাছকে বিপজ্জনক তালিকাভুক্ত করেছে। তার মধ্যে ইলিশও আছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ইলিশের খাদ্যগুণ অপরিসীম। এর মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং সোডিয়াম আছে ইলিশে যা শরীরের পক্ষে ভালো। প্রতি একশো গ্রাম ইলিশে প্রোটিন আছে ২১.৮ গ্রাম। কিন্তু ইলিশে আছে হিষ্টিডিন নামের এক অ্যামিনো আসিড যা পেটে গেলে অ্যাজমা এবং এই জাতীয় রোগের সম্ভাবনা। ভারতের অ্যাজমা আসোসিয়েশন জানাচ্ছে যে এর ফলে শ্বাসকষ্ট, নাক দিয়ে জল পড়া, গায়ে গোটা বেরোনো এবং পেটে খিঁচ ধরতে পারে। তাই বলে কি ইলিশ খাওয়া নিষিদ্ধ? ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি জানাচ্ছে যে মোটেই তা নয়। একটা, দুটো ইলিশ খাওয়াই যেতে পারে। কিন্তু বর্ষাকালে ইলিশ দিয়ে ভূরিভোজ এবার মূলতবি থাক।