প্রথম পাতা
মার্কিন ভিসা নীতির যথেচ্ছ প্রয়োগ না করার আহ্বান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
সকালে ইংরেজিতে প্রকাশিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বিষয়ক বিবৃতি সন্ধ্যায় অনুবাদ এবং পরিমার্জন করে পাঠ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির যথেচ্ছ প্রয়োগ যেন না হয়, সেটি বাইডেন সরকার নিশ্চিত করবে বলে আশা বাংলাদেশের। সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক বুধবার রাতে ঘোষিত যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট-এর ৩ সি বিধানের আওতায় বাংলাদেশের জন্য স্বতন্ত্র ভিসা নীতিকে ‘তথাকথিত বা সো-কল্ড ৩ সি বিধান’ বলে মন্তব্য করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে অবশ্য তিনি এর ব্যাখ্যা দেন। বলেন, ২০২১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের ওই বিধানটি প্রয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। নাইজেরিয়া এবং সোমালিয়ার পর বাংলাদেশে এটি প্রয়োগ হলো, এজন্য এটা ‘তথাকথিত বা সো-কল্ড’ বলা হয়েছে। ওই নীতিকে স্বাগত বা বর্জন না করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আশা করে এটির যথেচ্ছ ব্যবহার হবে না। পাঠ করা বাংলা বিবৃতিতে তিনি বলেন, মার্কিন সরকারের ভিসা নীতি সংক্রান্ত ঘোষণাটির প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাটিকে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সকল পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করছে। তবে, বাংলাদেশ আশা করে যে এই ভিসা নীতি যথেচ্ছভাবে প্রয়োগের পরিবর্তে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে অনুসরণ করা হবে।
ধারাবাহিকভাবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন। জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী কোনো সরকার টিকে থাকার নজির বাংলাদেশে নেই। জনগণের ভোটাধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার পবিত্র রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে এবং এ অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দলটির কঠোর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান সরকার শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আওতায় সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কার প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সঙ্গে পর্যালোচনার মাধ্যমে একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্তির মতো অসঙ্গতি দূর করার লক্ষ্যে ছবি সম্বলিত ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। ভোটারদের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও এজেন্টদের মধ্যে আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহার প্রচলন করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাধীন, বিশ্বাসযোগ্য ও দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সক্ষমতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুমোদিত হয়েছে।
এ আইন অনুসারে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পরিচালনার সুবিধার্থে সামগ্রিক নির্বাহী যন্ত্র তার নির্দেশনার আওতাধীন থাকবে। সে অনুযায়ী, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা বিঘিœত করার উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর যেকোনো অবৈধ প্রচেষ্টা বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলা করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সামগ্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির আওতায় রাখা হবে এবং এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও অংশগ্রহণ থাকবে। সরকার আশা করে যে জাতীয় পর্যায়ে যেসব অগণতান্ত্রিক শক্তি সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের আশ্রয় নেয় তারা সতর্ক থাকবে এবং সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে। কঠিন ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অর্জনকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপরেই বর্তায়। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত অঙ্গীকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় সমর্থনকে বাংলাদেশ সরকার সর্বদাই ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করে।
পাঠকের মতামত
Decade long political stability helped us achieve some major economic developments and we all thank the government for that. However we must also understand the benefits of the economic achievement didn't reach the common people much due to lack of transparency, accountability and sky high corruption. High inflation and high living cost forcing the middle class and lower middle class to spend all their savings. Unilateral decisions without consulting the concerned experts are becoming liability and debts for common people for the common people for the years to come. Only an accountable and democratic government with an open mind to listen to all experts before making strategic decisions can deliver beneficial sustainable development for the country. Democratic institutions must be preserved to bring talented and patriotic young people to politics who can move the country forward and the old leadership should encourage that.
এ দেশের মানুষকে এই লজ্বাষ্কর অবস্থার মধ্যে ফেলার জন্য আপনারাই দায়ী ।
কি ভয় পেয়েছেন নাকি ? ভয় কে করতে হবে জয় ।
সবাই মিথ্যা বলছে। ২০১৪ও ২০১৮ সালের চাইতে এবার আর ও খারাপ নির্বাচন হবে।যদি দলীয় সরকারের অধিনে হয়।
Shameless comments, they considered People of the country are foolish. fear Allah if you are believe in Him.
Fighting against democracy but nursing autocracy(internally).
জনাব প্রতিমন্ত্রী এখনও ফাক ফোকর খুজছেন । এটাকে রাজনীতি বলে না এটা হলো অপরাজনীতি। লজ্জ্বা পাওয়া উচিত ছিল সেই সাথে সু্ন্দর মনের মানুষ হওয়ার জন্য জাতীর কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত ছিল । ধন্যবাদ আমেরিকাকে ।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের যথেচ্ছো প্রয়োগের সময় এটা মনে ছিল না? বরং মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা যথেচ্ছা প্রয়োগ হলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা অনেক খুশি। thank ইউ USA
কেন, নেতা কি ভয় পাইছেন? নাকি “আজ আমার মন ভালো নেই” এর ব্যারামে পাইছে ।
আমগো আমেরিকার ভিসা লাগবো না। যেভাবে আমরা বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়া নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি,সেইভাবে ভিসা বানাইয়া আমেরিকায় ঢুকুন। আমরা বাঙালি বীরের জাতি দেখি কে ঠেকায় আমাগোরে???
World's Role Model is hit hard by hurdle and just joined the club with Nigeria and Somalia. Only remaining option left for Shahariyar is to make counter visa policy for US citizens!!!
একই সাথে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার না করার আহ্বান জানালে আরো ভালে হতো।
(মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে)। ১৫৪ জন বিনাভোটের এমপি, দিনর ভোট রাতে করা যদি গনতন্ত্র এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হয় তাহলে অগনতান্ত্রিক এবং অস্থিতিশীলতা কাকে বলে তাহা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা দরকার।