বাংলারজমিন
রোগীদের ভোগান্তি
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এম্বুলেন্স বন্ধ ৫ মাস
ইমরানুল ইসলাম, জুড়ী (মৌলভীবাজার) থেকে
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবারমৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ মাস ধরে এম্বুলেন্স বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, তেলের অগ্রিম বরাদ্দ না পাওয়ায় এম্বুলেন্স বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, স্থানীয় যেকোনো একটি পেট্রোল পাম্প থেকে চুক্তিভিত্তিক তেল নিয়ে এম্বুলেন্স সেবা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। পরে তেল বরাদ্দের টাকা এলে বিল পরিশোধ করা হয়। আগে থেকে এভাবেই চলে আসছিল। তবে সর্বশেষ ৫ মাস আগে এ রকমভাবে তেল নেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং সর্বশেষ বিল পরিশোধ এপ্রিল মাসে করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ই নভেম্বর জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর এলাকায় মৌলভীবাজার-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সরকারের অধিগ্রহণকৃত ৫ একর জমিতে ৪ তলা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মিত হয়।
২০১৮ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি জুড়ী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষের জন্য একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র। উপজেলা? সদরের রোগীরা প্রথম অবস্থায় শহরের মধ্যে অবস্থিত জুড়ী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। জুড়ী উপজেলা ছাড়াও পার্শবর্তী বড়লেখা উপজেলা থেকে অনেক রোগী চিকিৎসাসেবা এই হাসপাতালে আসেন। উপজেলার দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের ফখর উদ্দিন জানান, সমপ্রতি তার বৃদ্ধ বাবাকে হাসপাতালে নিতে এম্বুলেন্সের জন্য ফোন দিলে এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রয়েছে বলে জানানো হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি এম্বুলেন্সের নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়। বুধবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতাল প্রাঙ্গণে? দুই পাশে দুইটি প্রাইভেট এম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে।
সরকারি এম্বুলেন্সের অবস্থান জানতে চালক মাসুমকে ফোন করলে তিনি? জানান, এম্বুলেন্স স্টাফ কোয়ার্টারের ভিতরে রয়েছে।? পরে স্টাফ কোয়ার্টারে গিয়ে দেখা যায়, একটি আবাসিক ভবনের নিচে অরক্ষিতভাবে এম্বুলেন্সটি রাখা আছে। মাসুম জানান,? প্রায় ৫ মাস থেকে এম্বুলেন্স বন্ধ থাকায় হাসপাতালে কোনো কাজ নেই। তবে তারা প্রতিদিনই হাজিরা দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ বলেন, অগ্রিম তেলের বরাদ্দ না পাওয়ায় এম্বুলেন্স সার্ভিসটি বন্ধ রাখা হয়েছে। যে পেট্রোল পাম্প থেকে হাসপাতালের এম্বুলেন্সের তেল নেয়া হতো সেখানে প্রায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার মতো টাকা বকেয়া ছিল, তা গত মাসে পরিশোধ করা হয়েছে। নতুন বরাদ্দ এলে এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হবে।