কলকাতা কথকতা
আমার কথা উঠলেই রাজনীতি টেনে আনা হয় কেন? সৌরভের প্রশ্ন
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১ বছর আগে) ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২৯ অপরাহ্ন

আমার কথা উঠলেই রাজনীতি টেনে আনা হয় কেন? ব্যথিত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্নটি ছুঁড়ে দিলেন মানবজমিন সহ বাছাই করা কিছু সংবাদ মাধ্যমের দিকে। তিনি ত্রিপুরা সরকারের পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হচ্ছেন বলে বঙ্গের রাজনৈতিক দুনিয়ায় ঝড় উঠেছে। শুরু হয়ে গেছে তৃণমূল আর বিজেপির কাজিয়া। আর এইরকম এক মুহূর্তেই সৌরভ মুখোমুখি হয়েছিলেন বাছাই করা কিছু মিডিয়ার। সেখানেই খোলাখুলি সৌরভ প্রশ্ন করেন- কোনো কিছু করার স্বাধীনতা কী আমার নেই! ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক (মানিক সাহা) যখন ত্রিপুরা ক্রিকেট আসোসিয়েশনের সভাপতি আমি তখন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আমাদের দুজনের মধ্যে অন্তরঙ্গতা ছিল। সেই মানিক যখন ফোন করে বলল, ত্রিপুরার কয়েকটা ট্যুরিজম স্পটকে প্রমোট করতে হবে, আমি রাজি না হওয়ার কোনো কারণ দেখিনি। প্লিজ, এর মধ্যে বিজেপি নেই, তৃণমূল নেই, অযথা রাজনীতি টেনে আনবেন না। সৌরভ কতগুলি উদাহরণ দেন- শাহরুখ খান বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, অমিতাভ বচ্চন গুজরাট ট্যুরিজমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, শচীন টেন্ডুলকার কেরলের, মহেন্দ্র সিং ধোনি ঝাড়খন্ডের, ঋষভ পন্থ উত্তরাখন্ডের, এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠে। রাজনীতি আসে? তাহলে আমার বেলায় কেন? সৌরভ বলেন- আমি খুব সাধাসিধা জীবনযাপন করি। কোনও ঘোরপাঁচ নেই। দয়া করে সবার কাছে অনুরোধ আমার সব কাজকে রাজনীতির নিক্তি দিয়ে মাপবেন না। সৌরভ যাই বলুন, দুহাজার একুশের নির্বাচনে বিজেপি যে তাঁকে মুখ করে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে টক্কর দেয়ার চেষ্টা করেছিল সেটা সুবিদিত। অনেকেই বলছেন, ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সৌরভকে করার আগে ত্রিপুরা নিশ্চয়ই কেন্দ্রের অনুমোদন নিয়েছে। অর্থাৎ সৌরভ এবং বিজেপি কাছাকাছি আসছে দুহাজার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে। যে যাই বলুক, যাই অনুমান করুক, বর্তমান প্রতিবেদক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে তিন দশক ধরে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সুযোগে একটি কথা জোর দিয়ে বলতে পারে- সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কখনও রাজনীতিতে আসবেন না। কারণ রাজনীতি ইজ নট হিজ কাপ অফটি।