কলকাতা কথকতা
অনুব্রতের জন্য দোভাষী নিয়োগ করলো তিহার জেল কর্তৃপক্ষ
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(২ বছর আগে) ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:১৫ অপরাহ্ন
গরু-কয়লা পাচার কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মন্ডলের তিহার জেলবাসের দ্বিতীয় দিনটিও খুব ভালো গেলো না। বুধবার রাতে অনুব্রতর সমস্যা হয় তিয়ারের মশা। সারারাত মশার গুনগুন শুনতে শুনতেই তাঁর রাত পার হয়েছে। তিহারের মেনুও না পছন্দ অনুব্রতর। তিহারে একমাত্র জেল হাসপাতালে ভর্তি কয়েদিদের জন্য ডিম বরাদ্দ, বাকি সব নিরামিষ। অনুব্রতর মুখে রোচেনি মোটা চালের ভাত কিংবা মোটা আটার রুটি। সঙ্গে বাঁধাকপির ঘন্ট আর উত্তরভারতীয় কায়দায় ফোড়ন বেশি করে দেয়া আরহর ডাল। অনুব্রত জেল ক্যান্টিন থেকে কেনা খাবারে মনোনিবেশ করেছেন বেশি। তিহারের নিয়ম অনুযায়ী কয়েদিদের সন্ধ্যা সাড়ে ছটা থেকে সাতটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হয়। এর ফলে অনুব্রতর আবার খিদে পেয়ে যাচ্ছে রাত এগারোটা নাগাদ। তখন জেলের সব বাতি নেভানো। সকাল ছটায় তিহারে বন্দিদের হেডকাউন্ট হয়। তাই ভোরে বিছানা ছাড়তে হচ্ছে অনুব্রতকে, যেটা তাঁর একদমই পছন্দ নয়। এই হেডকাউন্ট এর সময়ই তাঁর দেখা হয়ে যায় দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে। সায়গল একগাল হেসে বলে- স্যার, ভালো আছেন? অনুব্রত সেই কথার জবাব দেননি বলেই জানা গেছে। অনুব্রত এক বর্ণ হিন্দি বা ইংরেজি বোঝেন না বলে রাউলস এভিনিউ আদালতের নির্দেশে তাঁর জন্যে বাংলা জানা দোভাষী নিয়োগ করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। অনুব্রত অবশ্য তাকিয়ে আছেন দিল্লি হাইকোর্টের দিকে। রাউলস এভিনিউ আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে তিনি জামিনের আবেদন করেছেন। আজ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার এজলাসে অনুব্রতর জামিনের আবেদন এর শুনানি।