বিশ্বজমিন
দেশে দেশে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা
মানবজমিন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩২ পূর্বাহ্ন

খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং-কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে খালিস্তান সমর্থকরা। হামলার মুখে পড়েছেন রাষ্ট্রদূতেরাও। পাঞ্জাবে এখন অমৃতপালকে ধরতে ক্র্যাকডাউন চলছে। তবে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিদেশে থাকা শিখরা। যেসব দেশেই শিখদের সংখ্যা বেশি, সেসব দেশেই ভারতীয় দূতাবাসগুলো হামলার মুখে পড়ছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সবার আগে বৃটেনে এই হামলা হলেও এরপর কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাঞ্জাব পুলিশের আছে ৮০ হাজার সদস্যের বিশাল বাহিনী। এ নিয়ে তারা অমৃতপালকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। এখনও কীভাবে অমৃতপাল ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে তা নিয়েও ভারতে অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে। তবে পুলিশের এই অভিযানের বিরুদ্ধে রোববার লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে খালিস্তানপন্থী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ শুরু করে।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতেও ভারতের কনস্যুলেটের সামনে কয়েকটি শিখ সংগঠন বিক্ষোভ দেখাতে আসে। যা পরে রীতিমতো সহিংস হামলার চেহারা নেয়। সিটি পুলিশের বসানো অস্থায়ী নিরাপত্তা ব্যারিয়ার সরিয়ে বিক্ষোভকারীরা কনস্যুলেট ভবনের দিকে ধেয়ে যায়। সেখানেও ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে টাঙিয়ে দেওয়া হয় দুটি হলুদ খালিস্তানি পতাকা। গন্ডগোলের একটা পর্যায়ে খালিস্তানের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে তারা দূতাবাসের কর্মীদের ওপরও হামলা চালানোর চেষ্টা করে। হাতে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে দূতাবাস ভবনের দরজা ও জানালাতেও জোরে জোরে বাড়ি মারতে দেখা যায় কয়েকজনকে। কনস্যুলেট ভবনের দেয়ালে স্প্রে পেইন্ট দিয়ে খালিস্তানের পক্ষে গ্রাফিতি এঁকে শেষ পর্যন্ত তারা বিদায় নেয়।
এদিকে কানাডা প্রবাসী ভারতীয়দের একটি সংগঠন সে দেশে নিযুক্ত নতুন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে সংবর্ধনা জানাতে সোমবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকঘন্টা আগে থেকেই শ’দুয়েক খালিস্তান সমর্থক সেখানে জড়ো হয়ে ভারত-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের বেশ কয়েকজনের হাতে কৃপাণ বা তরবারিও ছিল। যা দুলিয়ে তারা খালিস্তানের পক্ষে আওয়াজ তুলছিলেন। তাদের বিক্ষোভের মুখে রাষ্ট্রদূত ভার্মা শেষ পর্যন্ত সারে-তে গিয়েও ওই অনুষ্ঠানে যোগই দিতে পারেননি। খালিস্তানিদের বিক্ষোভ কভার করছিলেন, এমন একজন ভারতীয় সাংবাদিককেও স্থানীয় পুলিশ সেখান থেকে জোর করে সরিয়ে দেয়। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতেও সে দেশের পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়ে বেশ কয়েকটি খালিস্তানপন্থী সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
পাঠকের মতামত
Long lives Khalistan!
ধর্মের নাম ভারতের আগ্রাসী খাবার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা কাশমির, গুজরাট , খালিস্তাণ। হিন্দুরাষ্ট্র গঠনে সংখ্যালঘু মুসলিম, খ্রিস্টান,শিখ সবার উপর নেমে আসছে অত্যাচারের স্টিমরোলার (বি বি সি)। প্রতিটি কর্মের একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকবে। তার ই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সারাবিশ্বে। এই অবমাননাকর পরিস্থিতি ভারত নিজেই সৃষ্টি করেছে আর তার ফল তাকেই ভোগ করতে হবে।
RAW guys are not welcome here for comment. Stay in your country . What am I talking, they have already taken over this country.
খালিস্থান কাশ্মীর- এস সব আদর্শ যার মৃত্যু নেই। আদর্শ যুগযুগ ধরে থাকবে, আজ হোক কাল হোক, বাস্তবায়ন হবেই- হাজার বছরের ইতিহাস অন্তত তাই বলে।
আইএসআই নিয়ন্ত্রিত ভারত-বিরোধী খালিস্তানিদের জন্য যেসব জিহাদি এখানে মন্তব্যের নামে মায়াকান্না করছে, তারা কি পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের মুসলিম ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে জুমল্যান্ড আন্দোলনকেও সমর্থন দেয়?
খালিস্তানিদের জন্য যেসব জিহাদি এখানে মন্তব্যের নামে মায়াকান্না করছে, তারা কি পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের মুসলিম ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে জুমল্যান্ড আন্দোলনকেও সমর্থন দেয়?
খালিস্থানপন্থী স্বাধীনতা কামীদের জন্য শুভকামনা রইল। সেই সাথে খালিস্থানপন্থী স্বাধীনতাক্সমীদের দমন- নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
খালিস্থান জিন্দাবাদ l জয় হোক পৃথিবীর সকল স্বাধীনতাকামী মানুষের l জয় হোক কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনেের নির্যাতিত জনতার l
সবাই খালিস্থান এর স্বাধীননতা কামনা করুন তাহলে কাশ্মীরের সাধীনতা চাওয়া ওর ভিতরেই লুকানো থাকবে।
খালিস্তান জিন্দাবাদ পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই স্বাধীনতার ডাক আসবে, আমরা স্বাধীনতাকামি মানুষের পক্ষে আছি।
স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। সেই অধিকার চাওয়া অপরাধ নয়। আমি খালিস্থানীদের পক্ষে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, পাঞ্জাবে পুলিশ যেই সহনশীলতা দেখাচ্ছে, কাশ্মীরে কি এমন হলে পুলিশের ভুমিকা আরো হিংস্র হতো না ?? এখন পর্যন্ত পাঞ্জাবে কয়টি লাশ পড়েছে ?? একই ঘটনা কাশ্মীরে হলে কয়টা লাশ পড়তো ?? ভারতীয় বুদ্ধিজীবীদের প্রশ্নটি করে গেলাম।
৭২ এর সংবিধান অনুযায়ী, যেইখানেই স্বাধীনতার ডাক আসবে আমরা/বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের সমর্থন জানাবে। স্বাধীনতার মাসে অভিনন্দন খালিস্তাণীদের।
Excellent
Best wishes to the Khalistani people. Time has come India should recognize Khalistani people's right for an independent country.
Good news. I am happy. All the best to do action khalistan.
Excellent news. Agitate everywhere, my lions! Long live Amritpal Singh. We want plebiscite and separation ….Long live Khalistan!