বাংলারজমিন
ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনে চলছে পাঠদান
মোরশেদ আলম, চাঁদপুর থেকে
১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবারচাঁদপুরে ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনে চলছে পাঠদান। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই অমানবিকভাবে চলছে কমলমতি শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম। আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা। অথচ এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যেন একেবারেই নির্বিকার। ২০১৭ সালে নতুন ভবনের জন্য বরাদ্দ আসে। কিন্তু বিদ্যালয়ের ভূমির দু’টি অংশ দুই মৌজার হওয়ায় সে কাজটি আটকে যায়। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর সদরের ১৬২নং নিজ গাছতলা সপ্রাবি। দূর থেকে দেখণে বোঝার উপায় থাকে না, এটি কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কাছে গেলে চোখে পড়ে, খসে পড়া দেয়ালের পলেস্তারে বেড়ে উঠছে লতাপাতার পরগাছা। আরসিসি পিলার ও গ্রেট বিমগুলোতে বিস্তৃত ফাটল। ৩টি শ্রেণিকক্ষের ১টি ২ পাশের দেয়াল খসে পড়তে পড়তে মাটিতে মিশে গেছে বহু বছর আগে। উপরে নেই কোন ছাউনি। আর অবশিষ্ট ২টি শ্রেণিকক্ষের ভাঙা দরোজা, নেই জানালাও। ফলে দক্ষিণ বাতাসের সাথে ভেসে আসছে মাত্র ২ হাত দূরত্বে থাকা পাশের বাড়ির খোলা লেট্রিন আর গোয়াল ঘরের দুর্গন্ধ। এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভবন এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে, সব সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আর শিশু সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরাও। চাঁদপুর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল হাই জানায়, নতুন একটি ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। যেকোনো সময় বড় কোনো দুঘর্টনা ঘটতে পারে স্বীকার করে বিদ্যালয়ের এ দুরবস্থা থেকে উত্তরণ চায়।