বাংলারজমিন
ঝিনাইদহে ১০ মিনিটের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ গ্রাম, বজ্রপাতে পশু ও মানুষের মৃত্যু
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
২২ মে ২০২২, রবিবারঝিনাইদহে ১০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। বজ্রপাতে পশু ও মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ করেই আকাশ মেঘাচ্ছন হয়ে পড়ে। মুহূর্তেই বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়। এতে কালীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুর, রঘুনাথপুর, পিরোজপুর ও খোসালপুরসহ ১০টি গ্রাম ব্যাপক ক্ষতিগস্ত হয়। ১০ মিনিট স্থায়ী হওয়া এই ঝড়ে বাড়িঘর, আম, কলা, ফসল, বিদ্যুতের পোল ও বিভিন্ন গাছ ভেঙে গেছে। ফলে ওই এলাকায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। একইসঙ্গে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদহ, মালিপাড়া, তৈলটুপিসহ কয়েকটি গ্রামে পান ও কলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এনায়েতপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, ১০ মিনিটের ঝড়ে আমাগের সব শ্যাষ করে দিয়ে গেছে। গাছপালা ভাঙে গেছে। কারেন্টের পোল ভাঙে গেছে। রাস্তা বন্ধ ছিল। আমাগের ম্যালা ক্ষতি হয়েছে। পিরোজপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বলেন, সকালে হঠাৎ করে খুব ঝড় শুরু হয়। এর আগে আম্ফানের সময় যে ঝড় হয়েছিল। তেমন ঝড় আজকে হয়েছে। আমাগের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। আম বাগান, লিচু বাগান, কলা বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ বসাক বলেন, ঝড়ে ৩৩টি বিদ্যুতের পোল ভেঙেছে। তাছাড়া ৩৩ কেভি লাইনের উপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। আমাদের সব স্থানেই মেরামতের কাজ চলছে। সঠিক সময় বলা সম্ভব না। তবে বিকালের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। এদিকে শৈলকুপা উপজেলার কুলচারা গ্রামে বজ্রপাতে স্বামী আহত ও স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সকালে তারা দু’জনে বাড়ির পাশের মাঠে বেগুন তুলতে যায়। পরে ঝড় থামার পরে স্থানীয়রা মাঠে গিয়ে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রুপসী খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত গোলাম নবীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে সদর উপজেলার ডেফলবাড়িয়া গ্রামে বজ্রপাতে আশরাফুল ইসলাম নামের এক কৃষকের গোয়াল ঘরে দুটি মহিষ মারা গেছে। যার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি। তালিকাভুক্তরা যেন সহযোগিতা পায় সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে।