বাংলারজমিন
সীতাকুণ্ডে ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৫ মে ২০২২, রবিবারজমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না। এমন সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে সীতাকুণ্ড উপজেলার সরেজমিন কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফসলি কৃষিজমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষিজমির পরিমাণ। একশ্রেণির পুকুর ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ফসলিজমিতে পুকুর খননের লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছেন। উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষি জমিতে মেশিন দিয়ে ৮ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চলছে । কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি। অন্যদিকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী পুকুর ব্যবসায়ী। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসন রয়েছে নীরব। জানা গেছে, শ্রেণিভেদে প্রায় সব জমিতেই সারা বছর কোনো না কোনো ধরনের ফসল হয়। কিন্তু কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি এবং উৎপাদিত ধানের যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় প্রতি বিঘা জমি টাকার বিনিময়ে পাঁচ থেকে দশ বছর মেয়াদের চুক্তি করেছেন কৃষকরা। চুক্তির আওতায় নিয়ে তাদের ফসলি জমি পুকুরে পরিণত করেছেন। আর এভাবে চলতে থাকলে এক সময় খাদ্যশস্য সংকটে পড়তে হতে পারে এলাকার মানুষপদেরকে। এ বিষয়ে জানতে সীতাকুণ্ড উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেনকে মোবাইলে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।