ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শরীর ও মন

জরায়ুতে যদি টিউমার হয়

ডা. এম এ হক, পিএইচ.ডি
৬ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
mzamin

মাতৃত্বেও অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ জরায়ু। এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। জরায়ুতে সৃষ্ট টিউমারের অপর নাম ইউটেরিন ফাইব্রয়েড।  এটিকে সংক্ষেপে ফাইব্রয়েড বলা হয়। জরায়ুর যেকোনো অংশে টিউমার হতে পারে। আকৃতিতে এটি ছোট  মোটর দানা থেকে বাঙ্গির মতো বড় হতে পারে। জরায়ুতে টিউমার হলে রুগীর কষ্টকর কোনো লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে। তবে, জরায়ুর ভেতরের দিকে টিউমার হলে মাসিকের সময় সমস্যা হতে পারে। 

টিউমার হওয়ার ঝুঁকিসমূহ

 সাধারণত যাদের সন্তান নেই, বন্ধ্যত্ব সমস্যা আছে বা একটিমাত্র সন্তান আছে, তাদের ক্ষেত্রে টিউমার দেখা যেতে পারে। মাতা অথবা  বোনের জরায়ুতে টিউমার থাকলে জেনেটিক কারণে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইস্ট্রোজেনহরমোন বেশি থাকলেও টিউমার হতে পারে।

বিজ্ঞাপন
অতিরিক্ত ওজন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি দুই থেকে তিন গুণ বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত  লাল মাংস থাকলে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। 

টিউমারের ধরন

 জরায়ুর টিউমার সাধারণত  ৩ ধরনের হয়ে থাকে। জরায়ু দেয়ালের ভেতরে টিউমার হলে ইন্ট্রামুরাল ফাইব্রয়েড; বাইরের দিকে হলে সাবসেরোসাল ফাইব্রয়েড এবং যে অংশে ভ্রূণ থাকে সেখানে হলে সাবমিউকোসাল ফাইব্রয়েড বলা হয়। 

লক্ষণ 

সাধারণত টিউমারে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য লক্ষণ থাকে না। এ কারণে রোগী নিজে বুঝতেই পারেন না যে, তিনি ফাইব্রয়েড সমস্যায় ভুগছেন। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি তিন জন আক্রান্তের মধ্যে এক জনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। ব্যথাযুক্ত ও অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তস্রাব, মাসিক দীর্ঘস্থায়ী হওয়া, তলপেট ফুলে যাওয়া, মূত্রথলি ও অন্ত্রে চাপ, সহবাসকালীন ব্যথা, গর্ভপাত, বন্ধ্যত্ব ইত্যাদি এক বা একাধিক লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। জরায়ুর অভ্যন্তরীণ অংশে ফাইব্রয়েড সৃষ্টি হলে তা ফেলোপিয়ান টিউবকে বন্ধ করে দিতে পারে যা গর্ভধারণকে অসম্ভব করে তোলে ও বন্ধ্যত্বও সৃষ্টি করে। কখনো কখনো ফাইব্রয়েডের কারণে গর্ভপাত হতে দেখা যায়। 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় জরায়ুর টিউমার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এবং বর্তমান বিশ্বে এটি খুবই জনপ্রিয় চিকিৎসা।  অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের মাধ্যমে জরায়ুর টিউমার চিকিৎসা করালে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই বেশির ভাগ রোগীর স্থায়ী নির্মূল হয়ে থাকে।  তাই জুরায়ুর টিউমার হলে  চিন্তিত না হয়ে ও অযথা সময় নষ্ট না করে একবার হলেও রিপোর্টসহ অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন  হওয়া উচিত।  

জরায়ুর টিউমার  পরিত্রাণে বহুল ব্যবহৃত  ওষুধসমূহ হলো- 

 সিকেলিকর, এসিডনাই, গ্রাফাইটিস, থুজা, আর্সেনিক, অরামমেট, বেলেডোনা, ক্যালকেরিয়া আয়োড, ক্যাডমিয়ামসাল্ফ, ক্যালকেরিয়াকার্ব, কার্বোএনিমেলিস, চায়না, ক্লিমেটিস, কোনিয়াম, ক্রিয়োজোট, আয়োডিয়াম, ল্যাকেসিস, লাইকোপোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, মার্কসল, মিউরেক্স, ফসফরাস, রেডিয়ামব্রোমাইড, সিপিয়া, সাইলেসিয়া, সালফার, হ্যামামেলিস, হাইড্রাসটিস, ইত্যাদি। এ ছাড়াও আরও অসংখ্য ওষুধ লক্ষণ সাদৃশ্যে ব্যবহার করা হয়।  

 

চেম্বার: ড. হক হোমিও ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড রিসার্স সেন্টার, বিটিআই সেন্ট্রা গ্র্যান্ড, গ্রাউন্ড ফ্লোর (জি-৪), ১৪৪ গ্রীন রোড, পান্থপথ, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭১২-৪৫০৩১০

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

   

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status