ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

প্রত্যেক শিল্প ইউনিটে আলাদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি জোন গঠনের তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৩ মে ২০২২, শুক্রবার

প্রত্যেক শিল্প ইউনিটে আলাদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি জোন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর তমো পোতাইনেন। বলেছেন, শিল্প খাতে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে প্রত্যেক শিল্প ইউনিটে আলাদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি জোন গঠন করা আবশ্যক। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের শিল্প খাতে নিরাপত্তা’- শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
অনুষ্ঠানে শ্রমসচিব মো. এহছানে এলাহী বলেন, শিল্প খাতে নিরাপদ ও কর্ম উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত শ্রম আইনে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব শিল্প খাতের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিধান থাকছে। এ বিষয়ে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে কমিটি কাজ শুরু করেছে।
শ্রমসচিব বলেন, এটি একটি ভালো আইন হবে। আইনটি কার্যকর হলে শ্রমিক-মালিকসহ সকলের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। সচিব জানান, কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল ওয়ার্কিং প্ল্যান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন
এতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য কল্যাণকর বিষয়গুলো নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, পরিকল্পনা ছাড়া নতুন কোনো শিল্পের অনুমোদন দেয়া হয় না। তিনি জানান, শিল্প স্থাপন করতে হলে নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। চাকরিদাতা, কর্মজীবীসহ সবাই একসঙ্গে কাজ করলে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর তমো পোতাইনেন। তিনি বলেন, শিল্প খাতে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে প্রত্যেক শিল্প ইউনিটে আলাদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি জোন গঠন করা আবশ্যক। 
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাসির কবির বলেন, একসময় বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এখন তার পরিবর্তে শিল্পের অবদান বাড়ছে। তিনি মনে করেন, শিল্পায়ন ছাড়া দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য শিল্পে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। আরদাসির আরও বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে ধারণা ছিল, সে ধারণা পাল্টে গেছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের মনোভাব এখন ইতিবাচক, তবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। বেসরকারি সংস্থা এলসিডব্লিউ’র কর্ণধার শামীম আরা বলেন, দেশের সাত কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে শতকরা ৮৭ ভাগ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। এই খাতে বেশির ভাগ শ্রমিকরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাজ করে। তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। গত বছর এক হাজারের বেশি শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকের জীবনের ক্ষতিপূরণের দাবি নয়, আমরা চাই নিরাপদ ও কর্ম উপযোগী পরিবেশ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শিল্পে দুর্ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শুধু পোশাক শিল্পে নয়, সব খাতেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তিনি মনে করেন, শিল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রত্যেক কারখানায় আলাদা নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা যেতে পারে।

 

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status