বাংলারজমিন
ডোমারে প্রেমিকার সঙ্গে আটক র্যাবের এস আই
ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
৭ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার
জেলার ডোমারে দুই সন্তানের জননী প্রেমিকা সুমনা আক্তার (৩০) এর সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মহাবীর নামে র্যাবের এক এস আই। গত বুধবার রাতে উপজেলার আরডিআরএস সংলগ্ন মোজাম্মেল হক ভিলায় এ ঘটনা ঘটে। ডোমার থানার এস আই হিসেবে কর্মরত থাকার পর এখন নায়ারণগঞ্জে র্যাব-১১তে কর্মরত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আটক মহাবীর। পরে প্রেমিকা সুমনাসহ তাকে ডোমার থানায় নেয়া হয়। সুমনা আক্তার দেবীগঞ্জ উপজেলার খুঁটামারা ইউনিয়নের মো. রাজীব হোসেনের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। অন্যদিকে মহাবীর দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কেউরাপাড়া রসুলপুর এলাকার কালীমোহন রায়ের ছেলে। সুমনা আক্তারের মামাশ্বশুর ইসমাইল হোসেন বলেন, সুমনার ছেলে তার দাদার বাসায় ছিল। গত বুধবার রাত ৯টার পরে আমি সুমনার ছেলেকে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য আরডিআরএস সংলগ্ন মোজাম্মেল ভিলায় আসি। দরজা নক করার পর আমার বৌমা দরজা খুলে দেয়। এ সময় আমি তার সন্তানকে দিয়ে চলে যেতে চাইলে সে চা খেয়ে যেতে বলে। এ সময় পাশের রুমে শব্দ হলে আমি সেই রুমে যেতে চাইলে সুমনা আমাকে সেখানে যেতে বাধা দেয়। এক সময় আমি ওই রুমে গিয়ে দেখি একজন পুরুষ মানুষ সেখানে লুকিয়ে রয়েছে। আমাকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটকায়। আটকের পর জানা যায়, ডোমার থানায় এস আই হিসেবে কর্মরত ছিল। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার উৎসুক জনতা তাদের এক নজর দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমায়। প্রেমিকা সুমনা আক্তার বলেন, ডোমার থানায় আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটি অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগটি তিনি মীমাংসা করে দেয়ার পর থেকে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে সে আমাকে বিয়ের কথা জানালে আমি তাকে বলি তুমি তো হিন্দু আমাকে কীভাবে বিয়ে করবে? সে সময় সে আমাকে জানায় আমি মুসলমান ধর্মগ্রহণ করে তোমাকে বিয়ে করবো। এরপর থেকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করি। আমাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। পূজার ছুটিতে সে বাড়িতে আসলে গত বুধবার তার সঙ্গে দেবীগঞ্জে ঘোরার পর রাত ৯টার দিকে আমার বাসায় আসে। এর কিছুক্ষণ পর আমার মামাশ্বশুর তাকে বাড়িতে দেখতে পেয়ে আটক করে। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরতো আমার প্রথম স্বামী আমাকে গ্রহণ করবে না। আমি এখন তাকেই বিয়ে করতে চাই। আটককৃত এস আই মহাবীর প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, গত বুধবার রাতে সে আমাকে তার বাড়িতে আসতে বলায় আমি এসেছি। এর আগে আমি কখনো তার বাড়িতে আসিনি। বাড়িতে লোক আসায় অন্য ঘরে লুকালেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সুমনা আক্তার আমাকে লুকাতে বলায় আমি বারান্দায় লুকিয়েছিলাম। ডোমার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ বলেন, মেয়ের গার্ডিয়ানকে আসতে বললেও তারা কেউ আসেননি। তাছাড়া এখানে মুসলমান-হিন্দুর বিষয় থাকায় আমার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। তাই থানায় খবর দিলে গতকাল সকালে ডোমার থানা পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. মাহমুদ উন নবী এস আই মহাবীরসহ এক নারীকে থানায় নিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।