বাংলারজমিন
কুমিল্লায় কলেজছাত্রীকে ‘যৌন হয়রানি’, এএসআই কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
৪ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবারকুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অটোরিকশার মধ্যে কলেজছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর বুড়িচং থানার এএসআই আবদুল মালেক এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. বিল্লাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হলেও গতকাল বিষয়টি জানাজানি হয়।
২৫শে সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দু’জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুড়িচং থানার পরিদর্শক মো. কবির হোসেন জানান। তিনি আরও বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি এখনো জব্দ হয়নি। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।’
বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এএসআই আবদুল মালেকসহ দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দু’জনে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।’ পুলিশ জানায়, বুড়িচং উপজেলার ওই ছাত্রী ১৭ই সেপ্টেম্বর মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন। বাসা থেকে রাস্তার মাথায় যাওয়ার পর তার সামনে একটি অটোরিকশা এসে দাঁড়ায়। এ সময় অটোরিকশায় এএসআই আবদুল মালেক ছিলেন। ওই ছাত্রীও সেই অটোরিকশায় ওঠেন। তারপরই এএসআই ওই ছাত্রীকে অটোরিকশায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে বিভিন্ন স্থানে ঘোরায় এবং যৌন হয়রানি করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, এ ঘটনার পর ছাত্রী কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। তারপরই খোঁজ-খবর নিয়ে আদালতে মামলা করা হয়। অটোরিকশার চালক মো. বিল্লাল হোসেন বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কণ্ঠনগর গ্রামের বাসিন্দা।