বিশ্বজমিন
মনরোর মৃত্যু: আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা?
মানবজমিন ডেস্ক
(৫ ঘন্টা আগে) ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো যুক্তরাষ্ট্রের এক আইকন। তার সময়ে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে যৌন আবেদনময়ী। এ কথা পশ্চিমা পত্রপত্রিকা সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু তার মৃত্যুকে ঘিরে আছে নানা রহস্য। সমালোচকরা প্রশ্ন রাখেন, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে? ১৯৬২ সালের ৫ই আগস্ট নিজ বাড়িতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তিনি ছিলেন বিছানায় নগ্ন অবস্থায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে একে আত্মহত্যা বলে ধরে নেয়। কিন্তু বহু সাক্ষ্য, ফোন কল, গোপন টেপ ও অস্বাভাবিক ঘটনাপ্রবাহ এই মৃত্যুকে ঘিরে নতুন প্রশ্ন তোলে। অনলাইন ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
মেরিলিন মনরো যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি এবং তার ভাই অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ফলে মনরোর দিকে আরও বেশি দৃষ্টি পড়ে মানুষের। ধারণা করা হয়, মেরিলিন মনরোকে প্রভাবশালী ওই দুই ব্যক্তি ব্যবহার করে পরিত্যাগ করেন। পরে মনরো প্রকাশ্যে তা ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেন। তিনি তার ডায়েরিতে রাজনৈতিক আলাপ, গোপন তথ্য ও কথোপকথনের নোট রাখতেন। মনরো তার বন্ধুদের বলেছিলেন, তার কাছে এমন সব গোপন তথ্য আছে যা ‘পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দিতে পারে।’ একসময় তিনি প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করার হুমকি দেন। এক রাতে তার ঘরে রবার্ট কেনেডি ও পিটার লফোর্ড প্রবেশ করেন, এবং গোপনে রেকর্ড করা টেপ অনুযায়ী, মারাত্মক এক বাকবিতণ্ডা হয়। এর মূল বিষয় ছিল সেই ‘লাল খাতা’। মনরোর গৃহকর্ত্রী রাত ৩টার দিকে টের পান কিছু একটা অস্বাভাবিক। ডাক্তার গ্রিনসন জানালার কাচ ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন মনরো নিথর হয়ে পড়ে আছেন। ডাক্তাররা বলেন এটি ওভারডোজ। তবে বহু পুলিশ ও বিশেষজ্ঞ মনে করেন মৃত্যুর দৃশ্য সাজানো ছিল। পুলিশ অফিসার জ্যাক ক্লেমনস দৃশ্য দেখে বলেন, এটি ছিল ‘সবচেয়ে নাটকীয়ভাবে সাজানো মৃত্যুর দৃশ্য।’
ময়নাতদন্তে কিছু অদ্ভুত বিষয় ছিল। তার পাকস্থলীতে ওষুধের কোন দাগ নেই। অনেকে মনে করেন, তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ঘুমের ওষুধ ও ক্লোরাল হাইড্রেট মিশিয়ে এনিমা বা অন্য মাধ্যমে খাওয়ানো হয়েছিল। মনরোর ঘরে দ্রুত কিছু প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল বলেও দাবি ওঠে। তার মৃতদেহকে সাজিয়ে তোলা হয় যথাসম্ভব সৌন্দর্য বজায় রেখে। কিন্তু এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে- তিনি কি নিজের হাতে নিজের জীবন শেষ করেছিলেন, না কি কেউ তাঁকে চিরতরে চুপ করিয়ে দিয়েছে?