শামার-সিলসে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দশা, চোখ রাঙাচ্ছে স্টার্করাও

বারবাডোজ টেস্টের প্রথম দিনই দেখা গেলো ১৪ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ সবগুলো উইকেট হারিয়ে মোটে ১৮০। শামার জোসেফ আর জেডন সিলসের তোপে অজিরা টিকতে পেরেছে ৫৬.৫ ওভার। তবে বল হাতে স্বস্তি দেয়নি সফরকারীরাও। 
এই ম্যাচ দিয়েই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের যাত্রা শুরু হলো অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ক্যারিবিয়ান টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলো রোস্টন চেইসের। ১৮ মাস আগে ব্রিসবেন টেস্টে ভাঙা আঙুল দিয়ে বল করে ৬৮ রানে ৭ উইকেট তুলে নেন জোসেফ। ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় এনে দেন এই ক্যারিবিয়ান পেসার। সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের পর বুধবার রাতে আবারও অজিদের মুখোমুখি হয়ে দ্যুতি ছড়ালেন এই বাঁহাতি পেসার, ফিরিয়েছেন স্যাম কনস্টাস, উসমান খাজা, ক্যামেরন গ্রিনকে। পরে স্টাম্প গুড়িয়ে দিয়েছেন অলরাউন্ডার বো ওয়েবস্টারেরও। সফরকারীদের টপ অর্ডারকে দাঁড়াতেই দেননি তিনি। টসে জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে, এমন ম্যাচে অজিদের সর্বনিম্ন দলীয় রান এটিই। যদিও ক্যারিবিয়ানরা চারটি ক্যাচ হাতছাড়া না করলে ফাইফার পেতে পারতেন শামার। অভিষিক্ত ব্রেন্ডন কিং একাই ক্যাচ ছাড়েন তিনটি। জোসেফকে দুর্দান্তভাবে সঙ্গ দিয়েছেন সিলসও। এই ক্যারিবিয়ান বোলার তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট, যাদের মধ্যে আছেন জশ ইংলিস, অ্যালেক্স ক্যারি ও প্যাট কামিন্স। ১৯ টেস্টে তৃতীয়বার ফাইফারের স্বাদ পেলেন এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একমাত্র ফিফটি করেন ট্রাভিস হেড। চতুর্থ উইকেটে উসমান খাজাকে নিয়ে তিনি গড়েন ৮৯ রানের জুটি। আর অনান্য সব জুটি মিলিয়ে সাকুল্যে রান ৯১। হেডের ৫৯ রানের ইনিংসই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত, আর কেউ ছুঁতে পারেননি ফিফটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৪৭ রানে সাজঘর ফেরেন খাজা। শেষ দিকে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ১৮ বলে ২৮ রান করে ।
যদিও বোলারদের সাফল্য ধরে রাখতে পারননি স্বাগতিকদের ব্যাটাররা। ২০ ওভারে দলীয় ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ও জনাথন ক্যাম্পবেলকে ফেরান মিচেল স্টার্ক। দলীয় ৫২ ও ৫৩ রানে পরপর দুই ওভারে কেসি কার্টি আর জোমেক ওয়ারিক্যানকে সাজঘরের পথ দেখান কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড।