আরও ৯০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল

ইসরাইলি নৃশংসতায় ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০০ মানুষ। গাজা উপত্যকাজুড়ে তাদের হামলা অব্যাহত আছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে। দখল করে নেয়া পশ্চিমতীরের রামাল্লাহর উত্তর-পূর্বদিকে কাফর মালেক অঞ্চলে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন অনেকে। ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে এসব অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলা অনেকদিন ধরেই চলছে। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলা অবস্থায় ইসরাইল এখন গাজায় আরও জোরালো করেছে তাদের আধিপত্য, হামলা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসবেন মার্কিন ও ইরানি কর্মকর্তারা। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী হামলায় ১২ দিনের যুদ্ধে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬২৭ জন। আহত হয়েছেন ৪৮৭০ জন। পক্ষান্তরে ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছে ২৮ জন। অন্যদিকে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ৫৬ হাজার ১৫৬ জন। আহত হয়েছেন এক লাখ ৩২ হাজার ২৩৯ জন ফিলিস্তিনি।

সোমবার বিকেলে ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিমতীরে হত্যা করেছে ১৩ বছর বয়সী এক বালককে। সে কোনো হুমকি ছিল না বলে জানিয়েছে শিশু অধিকার বিষয়ক গ্রুপ ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল-প্যালেস্টাইন (ডিসিআইপি)। ওই বালকটির নাম আম্মার মোতাজ মোস্তাফা হামায়েল। ফিলিস্তিনি গ্রাম কাফর মালেকের পাশে একটি বাইপাস সড়ক দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটার সময় ইসরাইলি সেনারা তাকে পিছন থেকে গুলি করে। বুধবার রাত থেকে ওই এলাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। এতে সেখানে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।  পাইন গাছের আড়াল থেকে ইসরাইলি বাহিনী মাত্র ৫০০ থেকে এক হাজার মিটার দূরত্ব থেকে ১৩ বছর বয়সী ওই বালক ও তার বন্ধুদের দিকে গুলি করে। একটি গুলি আম্মারের পিছন দিয়ে বিদ্ধ হয়ে কাঁধ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাকে অ্যাম্বুলেন্স ক্রুদের হাতে তুলে দেয়ার আগে প্রায় দুই ঘণ্টা তাকে গুলি করার স্থানে আটকে রাখে। ওই অ্যাম্বুলেন্স তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে আটক রাখার সময়ে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করতে যান। এ সময় তাদেরকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তারা। এ নিয়ে এ বছর দখল করে নেয়া পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বাহিনী ২৯ জন শিশুকে হত্যা করলো।