বিশ্বজমিন
‘গাজা যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের সক্ষমতা থাকলেও নেই রাজনৈতিক ইচ্ছা’
মানবজমিন ডেস্ক
(১৩ ঘন্টা আগে) ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৫৯ অপরাহ্ন

ইরান যুদ্ধে যেভাবে ইসরাইলকে থামিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, ঠিক একইভাবে তিনি চাইলে গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধ থামাতে পারেন। কিন্তু ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত মার্কিন চাপের ফলে থেমে গেলেও গাজার ব্যাপারে সেই একই রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রশ্ন উঠছে- গাজার রক্তপাত থামাতে কি ডনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই ইচ্ছুক? ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক মাইরাভ জন্সাইন আল জাজিরাকে বলেন, যদি ট্রাম্প চান, তাহলে নেতানিয়াহুকে থামাতে পারেন। তবে বাস্তবতা হলো, গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরাইলকে অবাধ সমর্থন দিচ্ছে- অস্ত্র, কূটনৈতিক ঢাল এবং রাজনৈতিক ছাড়সহ। জন্সাইন বলেন, আমি এমন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেখছি না, যিনি এই নীতিকে পাল্টাতে চান- যতক্ষণ না তার স্বার্থ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্তমানে ট্রাম্প ইসরাইলকে একপ্রকার ‘কার্টে ব্লাঞ্চ’ বা সীমাহীন স্বাধীনতা দিচ্ছেন। এর ফলে গাজার বেসামরিক মানুষ, হাসপাতাল, স্কুল এমনকি শরণার্থী শিবিরও রক্ষা পাচ্ছে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সংঘাত বন্ধ করতে যেভাবে ওয়াশিংটন সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে, গাজা ইস্যুতে তেমন কোনো কূটনৈতিক চাপ এখনো দেখা যাচ্ছে না। বরং ট্রাম্প প্রশাসন গাজার যুদ্ধকে ইসরাইলের ‘সামরিক প্রয়োজন’ বলে চিহ্নিত করছে। ফলে শান্তির সম্ভাবনা দূরে সরে যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধকে নিজের রাজনৈতিক বাঁচার রসদ হিসেবে ব্যবহার করছেন। নিজ দেশের সমালোচনা, বিচারিক ঝুঁকি ও রাজনৈতিক চাপ থেকে রক্ষা পেতেই তিনি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন। আর ট্রাম্পের ‘নীরব আশীর্বাদ’ তার সেই পরিকল্পনায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
পাঠকের মতামত
অনাগত দিনের ইতিহাসে গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাইডেন, ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু অভিযুক্ত হবেন নিশ্চিতভাবেই! আর নেতানিয়াহুর অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিও ইতিহাসে ঠাঁই করে নেবে!