বিশ্বজমিন
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদকে যুদ্ধাপরাধ বলছে জাতিসংঘ
মানবজমিন ডেস্ক
(১৩ ঘন্টা আগে) ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২:৫৮ অপরাহ্ন

জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা ইসরাইলের একটি সাম্প্রতিক আইন ও পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘জোরপূর্বক স্থানান্তর’ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং একে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলেও চিহ্নিত করেছে। দখল করে নেয়া পশ্চিমতীরের মাসাফার ইয়াত্তা ও দক্ষিণ হেবরনের পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী বহু ফিলিস্তিনি সম্প্রদায় বর্তমানে উচ্ছেদের মুখে পড়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলি বেসামরিক প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনিদের জমি উন্নয়নের সব ধরনের অনুমোদন করছে। এর কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে যে ওই এলাকাটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরাইল ব্যাপক হারে ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে। ইচ্ছামতো গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালিয়েছে ফিলিস্তিনি ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর। একইসঙ্গে মাসাফার ইয়াত্তা ও আশপাশের এলাকায় চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তত ১২০০ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের সম্মুখীন হতে হতে পারে। এর ফলে তারা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বেন, যা ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। জাতিসংঘ উল্লেখ করেছে, উচ্ছেদ কার্যক্রমের সময় ইসরাইলি প্রশাসন একদিকে যেমন ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী বসতিগুলো থেকে আগত ইসরাইলি দখলদাররা নিয়মিতভাবে সহিংস হামলা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনি নারী, শিশু ও প্রবীণদের ওপর। বসতিস্থাপনকারীরা প্রায়দিনই হামলা চালাচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। সম্পদ ধ্বংস করছে এবং এইভাবে ফিলিস্তিনিদের বাধ্য করছে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে। জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার মতে, ফিলিস্তিনিদের জোর করে উচ্ছেদ করাটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু ইসরাইলের দায়বদ্ধতা বাড়ায় না, বরং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বিচারের পথও প্রশস্ত করে। এই বিবৃতির পর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল বিষয়টির ওপর গভীর নজর রাখছে এবং ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলছে।
পাঠকের মতামত
United Nations Humanitarian Agency. ? ? ? ? ?