তেহরানের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন

ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানি মারা যাননি। তাকে তেহরানে একটি বিজয় সমাবেশে উপস্থিত দেখা গেছে। সেখানে তিনি কাতারে থাকা মার্কিন সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ‘জবাবি প্রতিশোধ’ উদ্যাপন করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জেরুজালেম পোস্ট। অথচ গত শুক্রবার নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনে দাবি করে যে, কায়ানি ইসরাইলের এক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। একটি ইরানি সূত্রের বরাত দিয়ে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ইরানের সরকারি মিডিয়াও প্রচার হয়েছে সেগুলো। তাতে তাকে তেহরানে জনসমাবেশে বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে। এতে তার জীবিত থাকার তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। ২০২০ সালে কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর পর কুদস ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন কায়ানি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে তিনি বৈরুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলার পর নিখোঁজ ছিলেন। সেখানে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর উত্তরসূরি হাসেম সাফিয়েদ্দিন নিহত হন। এরপর গুজব ছড়ায় যে তিনি ইসরাইলি হামলায় আহত বা নিহত হয়েছেন।

মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকে এবং তার ঘনিষ্ঠদের ইরানে অভ্যন্তরীণ তদন্তের আওতায় আনা হয়েছিল। সন্দেহ ছিল যে আইআরজিসির ভেতরে ইসরাইলি গুপ্তচর রয়েছে। বিশেষ করে লেবানন সংক্রান্ত ইউনিটে। স্কাই নিউজ এবং ইসরাইলি মিডিয়া দাবি করে কায়ানি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন, যদিও এর কোনো স্বাধীন সত্যতা পাওয়া যায়নি।