বিশ্বজমিন
ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আরও চ্যালেঞ্জ থাকবে
জ্যাক কওন, বিবিসি
(৪ দিন আগে) ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫১ অপরাহ্ন

আমরা এখনো অপেক্ষা করছি এটা জানার জন্য যে, ইসরাইল সত্যিই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে কি না, যেমনটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন। ইরান, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু ট্রাম্পের জন্য কঠিন কাজ শুরু হবে এই যুদ্ধবিরতির পর- ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র পৌঁছানো ঠেকানো। হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু সেটা নিশ্চিতভাবে জানার উপায় নেই, যতক্ষণ না ইরান আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তার দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়।
এখানে আরও কিছু অজানা প্রশ্ন রয়ে গেছে। আমেরিকার হামলার আগে কি ইরানিরা পারমাণবিক উপাদান ও প্রক্রিয়াজাত যন্ত্রপাতি পরিচিত কেন্দ্রগুলো থেকে সরিয়ে ফেলেছিল? এমন কি কোনো গোপন কেন্দ্র ছিল যা এই হামলায় ধ্বংস হয়নি? এখন আমেরিকার প্রয়োজন ইরানের সঙ্গে একটি কূটনৈতিক চুক্তি, যা নিশ্চিত করবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সম্পূর্ণ, যাচাইযোগ্য ও অপরিবর্তনীয় ধ্বংস। শেষবার যুক্তরাষ্ট্র যখন এরকম একটি চুক্তি করেছিল, সেটি বাস্তবায়নে সময় লেগেছিল দুই বছরের বেশি। সেটিও বাতিল হয়ে যায়, যখন ২০১৮ সালে ট্রাম্প সেই চুক্তি বাতিল করেন। তিনি তখন যুক্তি দেন যে এটি ত্রুটিপূর্ণ এবং ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র বানানো থামাতে পারবে না।