অভিষেক গোলে ভাইকে মনে করালেন জোব বেলিংহ্যাম

যেকোনো খেলার ময়দানে প্রায়ই আপন দুই ভাইয়ের পদচারনা দেখা যায়। অগ্রজদের সঙ্গে অনুজদের পারফর্মেন্সের তুলনা, কাটাছেঁড়াও কম হয় না। ক্লাব বিশ্বকাপে শনিবার সেদিকেই ধাবিত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ তারকা মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যামের ছোট ভাই জোব বেলিংহ্যাম। জার্মান জায়ান্ট ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে প্রথমবার একাদশে নেমেই গোল পেয়েছেন এই ইংলিশ তরুণ। সেই গোলেই বড় ভাইকে মনে করিয়েছেন জোব। ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্লাব মামেলোদি সানডাউনসের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জয় তুলে নিয়েছে ডর্টমুন্ড। 
জুডের মতো জোব বেলিংহ্যামও মধ্যমাঠের খেলোয়াড়। এদিনের ম্যাচের ঠিক চার বছর নয় মাস আর এক সপ্তাহ আগে জার্মান কাপের ম্যাচে প্রথমবার ডর্টমুন্ডের হয়ে শুরু একাদশে নেমে গোল করেন জুড। ডুইসবুর্গের বিপক্ষে সেবার ৫-০ গোলে জয় তুলে নেয় জার্মান জায়ান্টরা। পার্থক্য শুধু জুড গোল করেন ৩০তম মিনিটে, আর জোবে লক্ষ্যভেদ করেন ৪৫তম মিনিটে। একাদশ মিনিটে মামেলোদি লিড নিলে মিনিট পাঁচেকের মধ্যে সমতায় ফেরে ডর্টমুন্ড। সেহু গিরাসি স্কোরলাইন ২-১ করার পর প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে নিজের অভিষেক গোলটি করেন জোব। সতীর্থের ডানপ্রান্তের ক্রস ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলকিপার। হাওয়ায় ভেসে ওঠা বলের দখল নিতে লাফিয়ে ওঠেন এক মামেলোদি খেলোয়াড়ও। দৃষ্টিনন্দন কায়দায় তাকে বোকা বানিয়ে বুক দিয়ে বল রিসিভ করে দুর্দান্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ১৯ বছর বয়সী তারকা। ৫৯তম মিনিটে আত্মঘাতী গোকে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-১। শেষ পর্যন্ত মামেলোদি দু’টি গোল শোধ দিলেও জয় নিয়েই ফেরে ডর্টমুন্ড। ম্যাচের পর জোব জানান যেভাবে গোলটি করেছেন, তা অনুশীলনেরই ফসল। তিনি বলেন, ‘গোলটি করে আমি আনন্দিত। কেননা, শৈশব থেকেই আমি এটি অনুশীলন করে আসছি। ঠিক এরকম ফিনিশিং নয়, তবে মিডফিল্ডার হিসেবে বক্সের কাছে গিয়ে দেরিতে পৌঁছানো, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলা থেকেই এটি অনুশীলন করছি, সান্ডারল্যান্ডে থাকাকালীনও। তাই গোলটি নিয়ে আমি সত্যিই খুব গর্বিত।’ যদিও নিজের গোলের চেয়ে দলের জয়ই বেশি প্রত্যাশিত জোবের কাছে, ‘(গোলটি) দারুণ একটি বোনাস ছিল। অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা জিতেছি। তবে এখনও আমার এবং দলের অনেক কিছু শেখার ও উন্নতি করার আছে। তবু আমি এই পারফর্মেন্সে খুশি।’
জুড ও জোব বেলিংহ্যাম ভাতৃদ্বয়ের দেখা হয়ে যেতে পারে এই ক্লাব বিশ্বকাপেই। রিয়াল আর ডর্টমুন্ড উভয়ই যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং নিজেদের শেষ ষোলোর ম্যাচ জিতে যায়, তবে কোয়ার্টার ফাইনালেই মুখোমুখি হবেন দুই ভাই।